পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
কলকাতা গোয়েন্দা পুলিসের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা থেকে এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোল্ডার বের করা হয়েছে সম্প্রতি। যার নাম ‘সাবধানের মার নেই’। ওই পুস্তিকায় বলা হয়েছে, কোনও অচেনা ব্যক্তি নিজেকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে যদি ফোনে এটিএম কার্ডের নম্বর অথবা ওটিপি চায়, সেক্ষেত্রে কখনই দেবেন না। গোয়েন্দাদের পরামর্শ, (১) ব্যাঙ্ক থেকে ফোন করে কখনই এমন তথ্য চাওয়া হয় না। (২) এই ধরনের ফোন এলে বুঝবেন, সম্পূর্ণ ভুয়ো। (৩) কোন অবস্থাতেই ওটিপি এবং পিন ফো জানাবেন না। (৪) কোনও রকমের কোডেড এসএমএস অচেনা বা অজানা নম্বরে ফরওয়ার্ড করবেন না। (৫) কার্ডের পিন কখনই কার্ডের গায়ে লিখে রাখবেন না। (৬) এটিএম কিয়স্কের মধ্যে এটিএম কার্ড হাতছাড়া করবেন না। (৭) এটিএম কিয়স্কে কোনও অবাঞ্ছিত লোকের সাহায্য নেবেন না। প্রয়োজনে গার্ডকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। (৮) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার চাবিকাঠি হল ওটিপি। তা শেয়ার করলে টাকা খোয়া যেতে পারে। (৯) সতর্ক এবং সুরক্ষিত থাকতে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ব্যাঙ্ক, নিকটবর্তী থানা বা লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হেল্প লাইনে (৮৫৮৫০৬৩১০৪) জানান।
সাইবার সুরক্ষা নিয়ে সচেতন করতে কলকাতা পুলিস কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাজির করেছে তাদের পুস্তিকায়। সেখানে পুলিসের পরামর্শ, ই মেল, ফেসবুক প্রোফাইল সুরক্ষিত রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। কমপক্ষে আট সংখ্যার পাসওয়ার্ড হওয়া দরকার। ওই পাসওয়ার্ড নিয়মিতভাবে পরিবর্তন করা উচিত। ফেসবুকে অপরিচিত ব্যক্তির বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ না করাই বাঞ্ছনীয়। অপরিচিত ব্যক্তির পাঠানো ই মেল, এসএমএস ফাইল ডাউনলোড না করা এবং সেটি না খোলাই উচিত। পুলিসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কোনও হাইপার লিঙ্ক ক্লিক করার আগে তার বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া দরকার। গোয়েন্দাদের পরামর্শ, কোনও ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান প্রদান বা অর্থর্নৈতিক লেনদেন করা উচিত নয়। ওই পুস্তিকায় আরও কিছু সতর্কবার্তা দিয়েছে কলকাতার গোয়েন্দা পুলিস। যা মেনে চললে এই ধরনের অপরাধ অনেকটাই কমবে বলে মনে করেন শহরের প্রবীণ সরকারি আইনজীবীরা।