বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
‘বাঘ বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও’— এই স্লোগানের বার্তা নিয়ে তাঁরা ভারতের ৫০টি ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকা ছাড়াও বিশ্বের যে আরও ১২টি দেশে বাঘের দেখা মেলে, সেখানে পৌঁছতে চাইছেন এই দম্পতি। নিজেদের বাইকে এই যাত্রাপথে প্রায় এক বছরে ৮০ হাজার কিমি পথ অতিক্রম করতে হবে বলেই জানিয়েছেন চল্লিশের কোঠায় পা দেওয়া রথীন্দ্রনাথ এবং স্ত্রী গীতাঞ্জলি।
প্রসঙ্গত, বাঘ বাঁচাওয়ের পাশাপাশি ১২টি দেশের এই যাত্রাপথে বিধাননগরের দম্পতি আরও কয়েকটি বার্তাকে প্রচার করতে চাইছেন। যার মধ্যে রাজ্য বনদপ্তরের ‘সেভ ফরেস্ট সেভ ওয়াইল্ডলাইফ’, ‘সেভ গ্রিন, সি ড্রিম’ এবং মুখ্যমন্ত্রীর ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ বার্তাও জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে চান ওই দম্পতি। সুকান্তনগরের বাসিন্দা রথীন্দ্রনাথ বলেন, অনেকদিন ধরেই পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণ বাঁচানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করছি। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারি একটি সংস্থায় প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় থেকেই এই পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণ বাঁচানোর আরও তাগিদ অনুভব করি। তাই সাধারণ মানুষও যাতে সেই আবেদনে সাড়া দেন, তাই তাঁদের মধ্যে জনসচেতনতা প্রচার করতে উদ্যোগ শুরু করি কয়েকবছর আগে থেকেই।
এর আগে ‘সেভ ফরেস্ট, সেভ ওয়াইল্ডলাইফ’ এই বার্তা নিয়ে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের ২৯টি রাজ্যে এবং ৫টি কেন্দ্রশাসিত এলাকায় ২৭,১৩৮ কিমি পথ অতিক্রম করেন তিনি। রথীনবাবু আরও জানান, ওই যাত্রাপথে ২২০০ স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে জঙ্গল এবং বন্যপ্রাণ বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতনতা প্রচার করেছিলেন।
এরপরে গণ্ডার বাঁচানোর আবেদন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে প্রায় ২৮২২ কিমি যাত্রাপথ অতিক্রম করেন তিনি। পরের বছর ‘বন্যপ্রাণ বাঁচানো কেন প্রয়োজন’ সেই বার্তা নিয়ে দেশের ১০টি রাজ্যে বাইকে প্রায় ৬০২১ কিমি পথ সচেতনতা প্রচার চালান স্ত্রী গীতাঞ্জলি দাশগুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে। তারপর থেকেই বিশ্বে ভারত সহ যে ১৩টি দেশে বাঘ রয়েছে, সেখানে তাদের রক্ষা করার বার্তা নিয়ে সচেতনতা প্রচারের পরিকল্পনা শুরু করেছিলেন তিনি। রথীনবাবু প্রথমে মায়ানমার যাবেন। সেখান থেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, চীন হয়ে রাশিয়া যাবেন। রাশিয়া থেকে অবশ্য বিমানযোগে নেপালে আসবেন। সেখান থেকে ভারত হয়ে আবার ভুটান যাবেন। সেখান থেকে ভারত ছুঁয়ে বাংলাদেশ যাবেন। সেখান থেকে প্রায় একবছর পর ভারতে ফিরে নিজের যাত্রা শেষ করবেন তিনি।