বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এদিন জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করলাম। তার বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য চার মাস আগে বলেছিলাম। তখন কোনও জবাব দিল না। এখনও তড়িঘড়ি রাজ্যকে এড়িয়ে উদ্বোধন করে দিল। এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার আর কী হতে পারে? সার্কিট বেঞ্চ তো কলকাতা হাইকোর্টের। অথচ এদিনের উদ্বোধনে হাইকোর্টের বা রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে সব জানিয়ে চিঠি লিখব। ক্ষোভের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই লোকটিকে (প্রধানমন্ত্রী) নিয়ে কথা বলতে আমার লজ্জা লাগে। ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করে। টাকা আমাদের। জমি আমাদের। আর নাম কিনতে চলে এলেন উনি।
মমতার ধর্না প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এদিন মন্তব্য করেন, দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করতেই এই ধর্না। এই প্রসঙ্গে মমতার স্পষ্ট জবাব, আমি গান্ধীজির দেখানো পথে সত্যাগ্রহ করেছিলাম। দেশের ২৩টি রাজনৈতিক দল এক জায়গায় এসেছে দেখে ‘ম্যাডি’বাবু (প্রধানমন্ত্রী) ভয় পেয়ে গিয়েছেন। আর ২০১১ সালের পর কোনও চিটফান্ড চালু হয়নি। রাজ্যে ১৯৮০ সাল থেকে চলছে। আমরাই চিটফান্ড কর্তাকে গ্রেপ্তার করেছি। বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তৈরি করেছি। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেনের নেতৃত্বে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন তৈরি করেছি। তারা চিটফান্ড প্রতারিতদের ৩০০ কোটি টাকা ফিরিয়েও দিয়েছে। কিন্তু তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে চলে যাওয়ায় আমরা আর টাকা ফেরত দিতে পারছি না। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশনের কাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পিসিপিএ, সাহারা তদন্তের কী করছেন মোদি? দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ, দুর্নীতিগ্রস্তদের নিয়ে চলছেন। বিজেপিতে গেলেই সবাই সাধু হয়ে যায়। আর না গেলেই আয়কর, ইডি, সিবিআইকে দিয়ে ভয় দেখানো হয়।
লোকসভা ভোটে বিজেপি ১০০ আসনও পাবে না বলে এদিন মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, গুজরাতে ভূমিকম্পের সময় তাঁকে ব্যাগ নিয়ে ঘুরতে দেখেছি। এখন বড় বড় কথা বলছেন, আর ভয় দেখাচ্ছেন। রাফাল ইস্যুতে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন মমতা। সেই সঙ্গে প্রিয়াঙ্কাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতা বলেন, আমার ভালোবাসা রইল।