বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সেই মতো স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে গতকাল দলের সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকের পর শনিবার সব রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং বিধানসভার পরিষদীয় দলনেতাদের দিল্লিতে ডেকেছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সংগঠন তথা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রদেশ নেতাদের বক্তব্য শুনবেন কংগ্রেস সভাপতি। গুরুদ্বার রকাবগঞ্জ রোডে কংগ্রেসের ‘ওয়াররুম’ বলে রাজনৈতিকভাবে পরিচিত বাংলোয় শনিবার সকাল থেকে ওই বৈঠক হবে। বৈঠকে যোগ দিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান দিল্লি এসে পৌঁছেছেন।
এমনিতে রাজ্যে তৃণমূল বিরোধী অবস্থান নিয়েই লড়াই করছেন সোমেনবাবুরা। কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের চার এমপি সহ প্রদেশ নেতৃত্বকে নিজের তুঘলক লেনের বাংলোয় ডেকেছিলেন রাহুল। সেখানে আলোচনায় রাহুল গান্ধীকে প্রদেশ নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, তৃণমূলের সঙ্গে জোট তারা মানবে না। ‘একলা চলো’ নীতিতে এগলেই কংগ্রেসের ভালো। রাহুলও তাঁদের বলেছিলেন, প্রদেশ নেতৃত্বকে এড়িয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদি বিরোধী অবস্থান নিতে গিয়ে সেদিনের সেই অবস্থানে কি অটুট থাকতে পারবেন রাহুল? উঠছে প্রশ্ন। ব্রিগেডে মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অভিষেক মনু সিংভিকে পাঠানোই নয়, মোদি বিরোধী সভার সাফল্য কামনা করে রাহুল, সোনিয়া মমতার পাশে থেকেছেন। কলকাতার পুলিস কমিশনার কাণ্ডেও মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী।
ফলে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে? আগামীকাল বৈঠকে বসার আগে আবদুল মান্নানের মতামত জানতে চাইলে এদিন তিনি বলেন, ‘আগে থেকে আমাদের কোনও মত সাংবাদিকদের জানাব না। আগামীকাল বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি কী জানতে চান দেখি। তারপরই রাজ্য কংগ্রেসের অবস্থান জানাব। তবে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল বিরোধী অবস্থানেই যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও কিছু বারণও করেনি।’