বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এই অনুষ্ঠানে ‘অসহিষ্ণুতা’ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক। সোমবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক, সামাজিক নানা কারণ। অন্য মানুষকে সহ্য না করার পিছনে রয়েছে আমাদের চিন্তাশক্তির দৈন্যদশা। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। অভিনেতা নাসিরুদ্দিনের পাশে তিনি আগেই দাঁড়িয়েছেন। এদিন ‘অসহিষ্ণুতা’ নিয়ে তিনি মতামত আরও স্পষ্ট করেন। ভিন্ন মত প্রকাশ করলেই তাঁকে যেভাবে আক্রমণের স্বীকার হতে হচ্ছে, তা নিয়ে এদিনও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, অনেক বিষয়ে নজর দেওয়ার আছে। কিন্তু সেদিকে না তাকিয়ে ভোটের আগে রাম মন্দির সহ এই ধরনের বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে আগ্রহ দেখায়, সেটা দুর্ভাগ্যের। তিনি বলেন, আদিবাসী উন্নয়নের জন্য একটা বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা করা একান্তভাবেই উচিত। তাঁদের বাদ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন কোনওমতেই সম্ভব নয়। এই অর্থনীতিবিদ এদিন বলেন, আদিবাসী উন্নয়নের জন্য তাঁদের স্বাস্থ্য, বাসস্থান প্রভৃতি বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। কোথায় তাঁদের সমস্যা, কী কী বিষয়ে তাঁদের উন্নয়ন সম্ভব, এই সকল বিষয়গুলিকেও খুঁটিয়ে দেখা উচিত। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, রাজ্যে দু’দিনের ধর্মঘটের জেরে কর্মসংস্কৃতি ক্ষতি হওয়ার যে সম্ভাবনা রয়েছে, তা নিয়ে আপনি কী বার্তা দেবেন? উত্তরে তিনি বলেন, এনিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। তাঁকে ফের প্রশ্ন করা হয়, চলতি বছরের লোকসভা ভোট নিয়ে আপনার কোনও বক্তব্য আছে? এনিয়েও তিনি কোনও কথা বলতে চাননি।