বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সাতজন বাংলাদেশি কিশোরকে ফেরানোর জন্য অনেকদিন ধরেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তারা অনেকে সঠিকভাবে ঠিকানা বলতে পারছিল না। পরে ঠিকানা পাওয়ার পর যোগাযোগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাদের পরিবার তথা বাবা-মায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। সেই সঙ্গে দুই দেশের প্রশাসন এবং বিএসএফ এবং বিবিজি’র (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) সঙ্গেও কথা বলা হয়। তারপরই দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়। এদিন সকালে বারাসতের কিশলয় হোম থেকে ওই সাতজন বাংলাদেশি কিশোর বাড়ি ফেরার সময় তাদের মুখে যেমন হাসি ছিল, তেমনই চোখের কোনাও চিকচিক করে উঠছিল। কারণ, বাড়ি ফেরার আনন্দ তো রয়েছেই। কিন্তু, এই হোমে এক বছর থাকতে থাকতে থাকতে অনান্য আবাসিকদের সঙ্গেও তাদের বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। তাই তাদের ছেড়ে যেতে মন খারাপও হচ্ছিল।
হোমের সুপার মলয় চট্টোপাধ্যায় তাদের প্রত্যেককে সীমান্ত পারাপার নিয়ে সচেতনও করেন। তারাও সুপারকে বলে, না জেনেই ভুল করেছি। আর করব না। বারাসত থেকে গাড়িতে চাপিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় পেট্রাপোল সীমান্তে। তারপর বিএসএফের জওয়ানরা তাদের জিরো পয়েন্ট পার করে বেনাপোলের দিকে নিয়ে যায়। বেনাপোল সীমান্তে প্রত্যেকের বাবা-মা এবং বাডির লোকজন অপেক্ষা করেছিলেন। দূর থেকে ছেলেরা দেশে ফিরছে দেখে তাঁদের চোখেও আনন্দের কান্না শুরু হয়। বিএসএফের জওয়ানরা বেনাপোলে ওই সাতজন কিশোরকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের হাতে হাতে তুলে দেন। তারপর বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড পরিবারের সদস্যদের হাতে তাঁদের সন্তানদের ফিরিয়ে দেন। নিজেদের দেশে ফেরার সময় সীমান্তে দাঁড়িয়েই ওই সাতজন কিশোর এ দেশের প্রশাসনকেও ধন্যবাদ জানায়। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, একসঙ্গে সাতজনকে নিজেদের দেশে ফেরাতে পেরে আমাদেরও খুব ভাল লাগছে।