বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
রাজ্যে ক্ষমতায় বসার পর এনিয়ে দ্বিতীয়বার এবং সব মিলিয়ে তৃতীয় ব্রিগেড সমাবেশ করতে চলেছে তৃণমূল। ২০১১ সালের ২১ জুলাই সাড়ে তিন দশকের বাম শাসনের অবসানে বিজয় উৎসব ও বার্ষিক শহিদ স্মরণ একযোগে পালন করতে ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল তৃণমূল। ঐতিহাসিকতার নিরিখে সেই জনসভা মূলত ঘরোয়া রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু আগামী ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড ধারে ও ভারে নতুন মাইল ফলক গড়তে চলেছে। স্বভাবতই, একে ঘিরে তৃণমূল গত কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, প্রতি বুথ থেকে হাজার দুয়েক মানুষ এই সভায় আসবে, এমনই টার্গেট নিয়েছেন তাঁরা। প্রায় তিন হাজার বর্গফুটের এই ময়দান তাতে যে উপচে পড়বে, তা বিলক্ষণ জানে নেতৃত্ব। তাই মাঠের মূল মঞ্চের বাইরে বেশ কিছু জায়গায় এলইডি স্ক্রিন থাকবে। যাতে মাঠে ঢুকতে না পারলেও সভা দেখতে বা শুনতে কোনও অসুবিধা না হয়। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ যাতে নির্বিঘ্নে হয়, সেই লক্ষ্যেই শুভক্ষণ দেখে এদিন দুপুরে পুরোহিত ডেকে খুঁটি পুজো করা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন সুব্রত বক্সি, দুই মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও তাপস রায়। এছাড়া কলকাতার দুই মেয়র পারিষদ রতন দত্ত, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, দলের রাজ্যনেতা অলোক দাস, আশিস চক্রবর্তী প্রমুখ হাজির ছিলেন খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে।
এবারের ব্রিগেডের গুরুত্ব অনেক বেশি, এমনই দাবি করলেন সুব্রত বক্সি। তিনি বলেন, এই সভার জাতীয় প্রেক্ষিতটাই আলাদা। আগামী দিনে দেশ কোন দিকে যাবে, তা স্থির করবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। গোটা দেশেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ সংগঠিত হচ্ছে। কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেটা এই মুহূর্তে মোটেই প্রাসঙ্গিক নয়। কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের পতনের পর এক মিনিটের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ঠিক করে ফেলবে বিরোধীরা। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী তথা শ্রমিক নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য মনে করেন, আসন্ন লোকসভা ভোটের পর প্রথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাবেন। দেশের সমস্ত বিজেপি বিরোধী শক্তি মমতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। সেই সুবাদে এই ব্রিগেড সমাবেশ অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করেন মন্ত্রী তাপস রায়। তিনি বলেন, ভিড়ের বিচারের পাশাপাশি সারা দেশের রাজনীতির অভিমুখ নির্ধারণে ঐতিহাসিক ভূমিকা নিতে চলেছে ১৯ তারিখের ব্রিগেড।