নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ৭ জানুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই পুলিশকে ব্যবহার করে ধর্মঘট ব্যর্থ করার চেষ্টা করুন না কেন, যেকোনও মূল্যে বন্ধ সফল করা হবে। আগামীকাল, মঙ্গলবার এবং বুধবার দেশজোড়া সাধারণ ধর্মঘট সফল করার লক্ষ্যে আজ এভাবেই কার্যত জঙ্গি আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন সেন এদিন বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে ধর্মঘট ব্যর্থ করার চেষ্টা করছেন। বাংলার সব সরকারি দপ্তরে পুলিশ মোতায়েন করার কথা জানিয়েছে রাজ্য। কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জোর করে কর্মচারীদের কাজে যোগদান করিয়ে বন্ধ ব্যর্থ, তা বোঝাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর ওই উদ্দেশ্য সফল হবে না। যেকোনও মূল্যে ধর্মঘট সফল করা হবে।’
এদিন সিটুর পাশাপাশি আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, ইউটিইউসি, টিইউসিসির মতো মোট দশটি বাম ও ডানপন্থী সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন একযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, দু’দিনব্যাপী দেশজোড়া এই ধর্মঘটে রাস্তা, রেল সর্বত্র অবরোধের সৃষ্টি করা হবে। উল্লেখ্য, শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরির পরিমাণ বৃদ্ধির দাবি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদের মতো মোট ১২ দফা দাবিতে এই বন্ধ ডেকেছে সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। যদিও প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস) এই ধর্মঘটে শামিল হচ্ছে না।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এই ইস্যুতে একটি ট্যুইট বার্তায় বলেছেন, ‘মোদি সরকারের চূড়ান্ত অপদার্থতা এবং জনস্বার্থ বিরোধী নীতির কারণে ভুগতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। কেন্দ্রের মোদি সরকার শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য তার ঘনিষ্ঠদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে চলেছে। কর্মজীবী মানুষ এত সহজে এটি মেনে নেবে না।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদি বিরোধী এই কর্মসূচি সফল করে আদতে নিজেদের শক্তি পরীক্ষাই করে নিতে চাইছে অবিজেপি দলগুলি। যা কাজে লাগানো হবে লোকসভা ভোটের নির্বাচনী কৌশল গ্রহণে।