প্রেম-প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
গত কয়েক বছর ধরে দলের যুব শাখার উদ্যোগে সংহতি দিবস পালন করছে তৃণমূল। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে হয় এই কেন্দ্রীয় সভা। একাধিকবার সেই সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির থেকেছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সমালোচনার পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। এবার একদিকে যেমন মাস খানেকের মধ্যে তৃমণূলের ব্রিগেড সভা, অন্যদিকে রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় মেরুকরণে তৎপরতা বাড়িয়েছে বিজেপি। আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে রাজ্যের এই রাজনৈতিক রসায়নে বাবরিকাণ্ডের বর্ষপূর্তি পালনের তাৎপর্য বিরোধীদের কাছে বাড়তি মাত্রা পেয়েছে। বিশেষত, দেশের জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী জোট কেন্দ্রীভূত হচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীকে ঘিরে। তাই বিজেপি বিরোধীদের এক মঞ্চে হাজির করার লক্ষ্য নিয়ে মমতার ব্রিগেড সমাবেশের ডাকও সর্বভারতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এই পরিস্থিতিতে সংহতি দিবসের কর্মসূচিকে তৃণমূল স্তরে বিকেন্দ্রীকরণের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি মনে করেন, ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড এখন দলের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই জেলা থেকে লোক আনার কাজে সময় ব্যয় করার চেয়ে ব্রিগেডের প্রস্তুতি অনেক জরুরি। তাই এবার সংহতি দিবসে আর কোনও কেন্দ্রীয় সমাবেশ করা হচ্ছে না। যদিও বাবরিকাণ্ডের সেই ‘কালা দিন’ মনে রেখে বুথ স্তরে কর্মসূচি নিয়েছে দল। প্রতি বুথে কালো ব্যাজ পরে সংহতি দিবস পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন সুব্রত বক্সি। উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষে সৌম্য বক্সি জানিয়েছেন, গিরীশ পার্ক থেকে মিছিল করবেন তাঁরা। মিছিল শেষ হবে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে বিধানচন্দ্র রায়ের বাসভবনের সামনে।