কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আয় খারাপ হবে না। বিদ্যা ও দাম্পত্য ক্ষেত্র শুভ। ... বিশদ
শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ মোস্তাকিনকে বারুইপুর আদালতে আনা হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট শুনানির পর সাড়ে ৩টের নাগাদ দোষীর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি, মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
গতকালই মৃতা ছাত্রীর বাবার দাবি করেছিলেন, মোস্তাকিনকে ফাঁসি দেওয়া হোক। দেখা গেল, এদিন আদালতের নির্দেশ সেই দিকেই গেল। তবে নিম্ন আদালতের এই রায় চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যেতে পারবে মোস্তাকিন।
এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হলেও কি দোষীর শাস্তি বহাল থাকবে? এপ্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটা অতি জঘন্য অপরাধ। ওই ছাত্রীর উপর অমানসিক অত্যাচার করা হয়েছিল। তার শরীরে ৪৫টিরও বেশি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তথ্যপ্রমাণ যা আছে, তাতে কোনওভাবেই অভিযুক্ত ছাড়া পাবে না। সবকিছুই তার বিরুদ্ধে। ফলে আশঙ্কার কোনও জায়গা নেই।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর পুজোর ঠিক কয়েকদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে পুলিস গ্রেপ্তার করে মোস্তাকিনকে। এদিন তারই মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত।
আদালতের রায়ের পরে এই তদন্তের সাফল্যের জন্য এই কেসের সঙ্গে জড়িত রাজ্য পুলিসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মহিলার উপর হওয়া এমন অত্যাচারের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে তাও এদিন স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।