পরিবারের কারও শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধির যোগ। জরুরি কাজকর্ম সর্বপ্রথম করে ফেলার চেষ্টা করুন। ... বিশদ
মধ্যমগ্রাম পুরসভার চণ্ডীগড় এলাকায় প্রায় ২১ শতক জায়গায় রয়েছে একটি জলাশয়। বহু বছর আগে এই জলাশয় ব্যবহার করতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখন জলাশয়টি প্রায় পরিত্যক্ত। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেড় বছর আগে এই জলাশয় ভরাটের কাজ শুরু হয়। প্রতিবাদ জানিয়ে মধ্যমগ্রাম পুরসভাকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তখন পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে থানাতে অভিযোগও করেন চেয়ারম্যান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এরপর একমাস আগে ফের ওই পুকুর ভরাট শুরু হয়। প্রথমে পাড় বাঁধানোর কাজ চলছিল। পরে মাটি ফেলে তা ভরাট করা হয় বলেই অভিযোগ। প্রতিবাদে স্থানীয়রা পোস্টারও দিয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের কাউন্সিলার প্রিয়াঙ্কা মল্লিকের নামে। তাঁর মদতেই এই ভরাট হচ্ছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দা অলোক রায়, প্রসেনজিৎ রায় বলেন, আগে একবার এটা করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা বন্ধ করার পর আবার চালু হল। আমাদের কাউন্সিলার আর জি কর ইস্যুতে জাস্টিসের দাবিতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন। অথচ তাঁর ওয়ার্ডে একটা পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে, তাতে তাঁর হেলদোল নেই। উল্টে তাঁর মদতেই ভরাট হচ্ছে বলে আমাদের ধারণা। তাহলে এর জাস্টিস কীভাবে পাওয়া যাবে? আমরা চাই পুকুর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
এনিয়ে কাউন্সিলার প্রিয়াঙ্কা মল্লিক বলেন, ওটা পুকুর নয়, ডোবা। সেটির পাড় ভাঙতে ভাঙতে এমন অবস্থা হয়েছে যে, বাড়ি থেকে পুরসভার রাস্তায় যাওয়ার গলিতেও ধস নামার উপক্রম হয়েছে। তাই পাড় বাঁধানো হচ্ছে। ভরাটের অভিযোগ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। তবে, মধ্যামগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, আগেও ওই পুকুরটি ভরাটের চেষ্টা করা হচ্ছিল। আমরা তখন তা রুখে দিয়েছিলাম। এখন শুনছি ফের ভরাট হচ্ছে। তাই আমরা আইনত ব্যবস্থা নিয়েছি। নিজস্ব চিত্র