পরিবারের কারও শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধির যোগ। জরুরি কাজকর্ম সর্বপ্রথম করে ফেলার চেষ্টা করুন। ... বিশদ
১২ নভেম্বর সল্টলেকের দু’নম্বর গেটে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়ার। স্কুটার চালাচ্ছিলেন মা। ছেলে ছিল পিছনে। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল তারা। সে সময় দু’টি বাস রেষারেষি করছিল। একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটারে ধাক্কা মারে। মৃত্যু হয় শিশুটির। তার মাথায় হেলমেট ছিল না। ওই ঘটনার পর শিশু পড়ুয়াদের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ে। দুর্ঘটনা আটকাতে তৎপর হয় পুলিস। বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাট, এয়ারপোর্ট, বাগুইআটি, কেষ্টপুর সহ বিধাননগরজুড়েই পড়ুয়াদের হেলমেট পরানো নিয়ে সচেতনতা প্রচার চলছে। স্কুলের বাইরে পুলিস সচেতন করছে অভিভাবকদের। রাস্তায় দাঁড়িয়েও চলছে প্রচার। বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়াদের নিয়েও এই কাজ করছে পুলিস। সম্প্রতি নিউটাউন ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে নিউটাউনের ডে কেয়ার স্কুলে শিশু পড়ুয়াদের হেলমেটও বিতরণ করা হয়েছে।
সল্টলেকে যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল সেখান শিশুদের হেলমেট না পরিয়ে স্কুলে দিতে যাচ্ছিলেন এক অভিভাবক। তাঁকে দাঁড় করিয়ে কারণ জিজ্ঞেস করে পুলিস। অভিভাবক উত্তর দিয়েছিলেন, ‘স্যার হেলমেট আছে। আজ পরিয়ে আনতে ভুলে গিয়েছি।’ এরকম অজুহাত অনেকেই দিচ্ছেন বলে বক্তব্য পুলিসকর্মীদের। বিধাননগরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার (ট্রাফিক) নিমা নরবু ভুটিয়া বলেন, ‘শিশু পড়ুয়াদের যাতে হেলমেট পরানো হয়, সে বিষয়ে আমরা সবাইকে সচেতন করছি। স্কুলেও প্রচার করা হচ্ছে।’