শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
এজেসি বোস ফ্লাইওভারের উপরেই একাধিক জায়গা অসমান। কোথাও উধাও পিচের উপরের আস্তরণ। আবার কোথাও প্যাচওয়ার্কের জেরে ফ্লাইওভারের পিচের স্তর উঁচু হয়ে গিয়েছে। গাড়ি, বাইকের সাসপেনসনে সেই ধাক্কা সামলে নেয়। তবে মাস দেড়েক আগে বিপজ্জনক আকার ধারণ করে পার্ক সার্কাস কানেক্টরে। এজেসি বোস ফ্লাইওভার থেকে মা ফ্লাইওভারের সংযোগস্থলে প্রায় ৬০০ মিটার অত্যন্ত বিপজ্জনক পিজি থেকে ফ্লাইওভার ধরে গেলে সংযোগস্থলে ভয়াবহ ক্ষত তৈরি হয়েছিল। টানা বৃষ্টিপাত ও নিয়মিত গাড়ি যাতায়াতের জেরে গর্ত তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, কংক্রিটের ব্লকের সংযোগস্থলগুলি ভেঙে যায়। বেহাল পরিস্থিতি নজরে আসার পরই তা মেরামতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। পিচের উপর ফের পিচের আস্তরণ দেওয়ায় বিশেষ লাভ হয়নি। আস্তরণের ধার থেকেই ফের ভাঙতে শুরু করেছে।
মা ফ্লাইওভারের মূল অংশের দিকে আরেকটু এগলেই ভয়ঙ্কর অবস্থা। ঠিক পার্ক সার্কাস ক্রসিংয়ের উপরে ফ্লাইওভারের হাল দেখলে মনে হবে পঞ্চায়েত এলাকার কোনও রাস্তা। প্রায় ২০-৩০ মিটার ফ্লাইওভার বিরাট বিরাট গর্ত। পাশ কাটিয়ে যাওয়ারও উপায় নেই। এত বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যে দিনভর ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে সেই সব গর্তে জল জমে রয়েছে। ফলে সেই গর্ত আদৌ কতটা গভীর, দূর থেকে গতিতে এসে তা ঠাওর করতে পারছেন না গাড়ি, বাইকচালকরা। মূলত, প্রাণ হাতে নিয়ে ফ্লাইওভারের এই অংশ পার করছেন বাইকচালকরা। সল্টলেকের এক তথ্যপ্রযুক্তির সংস্থার কর্মী সুশান্ত ঘোষ বলেন, আমি বেহালায় থাকি। অফিস যেতে হলে প্রতিদিন ভরসা এই মা ফ্লাইওভার। অথচ প্রতিবার বর্ষায় মা ফ্লাইওভারের এই কানেক্টর গাড়ি চালানোর পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। তার জেরে অফিস টাইমে তীব্র যানজট দেখা যায়। এমনকী, ভরদুপুরেও বড় বড় গর্তের জেরে গাড়ির লাইন পড়ে যাচ্ছে ফ্লাইওভারে। যার ফলে ডিএল খান ক্রসিং ও পার্ক সার্কাস ক্রসিংয়ে কার্যত নাকানিচোবানি খাচ্ছেন ট্রাফিক সার্জেন্টরা। সন্ধ্যায় অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর। এপ্রসঙ্গে, কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির দাবি, কয়েক জায়গায় মেরামতির কাজ বাকি রয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ বকেয়া। সার্বিকভাবে মেরামতি করা হবে।