বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নবান্ন থেকে নির্দেশ পাওয়া মাত্র বৃহস্পতিবার জেলার প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে অবসরপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষক নবকুমার গুপ্তকে এদিন সকালে ফোন করা হয়। রাস্তার বিষয়টি দেখার জন্য জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক তেলিয়া গ্ৰামে আসেন। বুধবার বিকেলে ভালিয়া গ্ৰামের তেলো ভেলোর মাঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা ছিল। বিকেল পাঁচটার মধ্যে জনসভা শেষ হয়ে যায়। অভিষেকের কনভয় তেলিয়া গ্ৰামের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা কনভয়ের পথ আটকে দেন। পুলিস গ্ৰামবাসীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে গেল নবকুমার গুপ্ত রাস্তায় শুয়ে পড়েন। এরপরেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নবকুমারের সঙ্গে কথা বলতে চান। বিষয়টি শুনেই পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন। বৃহস্পতিবার সকালে নবকুমারের কাছে নবান্ন থেকে ফোন আসে। গ্ৰামবাসীদের দাবি দাওয়ার বিষয়টি তাঁর কাছে বিস্তারিতভাবে জানতে চাওয়া হয়। দুপুরে জেলা প্রশানের এক আধিকারিক গ্ৰামে এসে নবকুমারের সঙ্গে দেখা করেন। অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে বসে আশি বছরের নবকুমার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তেলুয়ার স্কুল মোড় থেকে ক্যানেল পাড় ও মাঝের পাড়া থেকে গুপ্তপাড়া পর্যন্ত দু’টি রাস্তা মেরামতের দাবি করা হচ্ছে। একুশ সালে দু’টি রাস্তা তৈরির অনুমোদনও হয়। স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার বলেও এতদিন কোনও কাজ হয়নি। গতকাল বিকেলে স্কুল মোড়ের কাছে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কনভয় এলে গ্ৰামের বাসিন্দারা ওঁর সঙ্গে কথা বলার আবেদন জানান। পুলিস বাধা দিলে আমি রাস্তার সামনে শুয়ে পড়ি। উনি আমার দাবিদাওয়ার বিষয়টি মন দিয়ে শোনেন। দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন। এদিন সকাল ন’টার সময় নবান্ন থেকে আমার কাছে ফোন আসে। তারপরই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ।