কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
শানুরা ছ’জন মিলে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। পরেরদিন অন্যদের যাওয়ার কথা ছিল। বললেন, ‘জানলা দিয়ে দেখলাম একটা একটা করে বগি উল্টে যাচ্ছে। মৃত্যু আসন্ন বুঝলাম।’ সানুরা ছিলেন এস ওয়ান বগিতে। সেটি ইঞ্জিন থেকে চার নম্বর বগি। ‘পরে জেনেছি আমাদের বগির উপর এস টু বগি উঠে গিয়েছিল। চোখে দেখছিলাম কাপড়ের মতো কুঁকড়ে যাচ্ছে বগি। আমি লাগেজের পাশে রড ধরে কোনওরকমে বসেছিলাম’, বললেন শানু। জানালেন, এর আগে বহুবার করমণ্ডলে চড়েছেন। কিন্তু এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের এ হেন অবস্থা দেখে সবাই অবাক। দুর্ঘটনাস্থল থেকে রিলিফ ট্রেনে কলকাতায় ফিরেছিলেন। এখন দুশ্চিন্তা পেশার কারণে আজ না হোক কাল
ট্রেনে উঠতেই হবে। কীভাবে এই আতঙ্ক ভুলবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। বললেন, ‘এখন
মনে হচ্ছে, বেঁচে ফিরলাম কীভাবে? ট্রেনে উঠতেই ভয় লাগছে। পরিবারও ট্রেনে ওঠার কথা শুনলে রেগে যাচ্ছে। মনোচিকিৎসকের কাছেও যেতে হল আমাকে। চিকিত্সা শুরু হয়েছে। ওষুধও খাচ্ছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষিকারও কার্যত একই অবস্থা। দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনের জানলা থেকে ঝাঁপিয়ে তিনি কোনওক্রমে কামরার বাইরে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর ট্রমার মধ্যে পড়েন। স্কুলে যেতে পারছেন না। শরীরে আঘাতের ব্যথা কমে গেলেও মনে গভীর দাগ কেটেছে দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা। যা কিছুতেই কাটছে না।