রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পূর্ব পুঁটিয়ারির বাসিন্দা সোমাদেবী এই স্কুলে ২০০৪ সাল থেকে রয়েছেন। সেখান থেকে তারাতলা মিন্টের কাছে ওই স্কুলটিতে রোজ আসতেন তিনি। সোমাদেবী জানান, এই রুটের বাসে খুব ভিড় হয়। একদিন ভিড় বাসে একজনের পায়ে চাপ লেগে শাড়িটি প্রায় খুলেই যায় তাঁর। লজ্জায়-অপমানে তিনি স্কুলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তাঁকে যেন সালোয়ার কামিজ পরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি সালোয়ার কামিজ পরে স্কুলে এসে শাড়ি পরে নিতে পারবেন। সেই অনুমতি তাঁকে দেওয়া হচ্ছে। তবে, পোশাক বদলানোর উপযুক্ত ঘর না থাকায় এবং নীতিগত কারণে তিনি রাজি হননি। এর ফলে মার্চ থেকে তাঁকে কার্যত বসিয়েই দেওয়া হয়। ক্লাস দেওয়া হতো না স্কুলে গেলেও। তিনি নিয়মিত প্রধান শিক্ষিকাকে উপস্থিতির কথা জানিয়ে ই-মেল করে গিয়েছেন।
এরপর তিনি বিষয়টি জানিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং মহিলা কমিশনে চিঠি পাঠান। বেসরকারি স্কুল হওয়ার কারণে পর্ষদের সচিব সেই চিঠি স্কুলশিক্ষা কমিশনারের কাছে পাঠিয়ে তাঁকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। মহিলা কমিশনও রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। সেই রিপোর্টে স্কুল একতরফাভাবে সোমাদেবীকেই দায়ী করেছে। স্কুলের বক্তব্য, তাদের সুনাম নষ্ট করতেই সোমাদেবী এসব গল্প ফেঁদেছেন। শেষ পর্যন্ত, ৩১ মে সোমাদেবীকে বরখাস্তের চিঠি পাঠায় স্কুল। তবে, প্রকৃত ঘটনা কী, তা জানতে স্কুলেরও প্রতিক্রিয়া নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রধান শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করা হয়েছিল। তবে, তিনি তা ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপেও বিষয়টি জানানো হয়। তবে, তিনি তাতেও কোনও উত্তর দেননি। যদিও, ইতিমধ্যে স্কুলের প্রাক্তনীদের মধ্যে এ খবর পৌঁছেছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটির প্রতিবাদ করে সরব হচ্ছেন। নিচু ক্লাসে মিউজিক ফিরিয়ে আনা এবং সোমাদেবীকে পুনর্বহালের দাবি তুলছেন তাঁরা। ছাত্রী এবং অভিভাবকদের অনেকেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, এই স্কুলে নানা এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ রয়েছে। শুধুমাত্র নিচু ক্লাসের মিউজিক ক্লাস তুলে দেওয়ার কারণ সম্পর্কে আমরাও ধোঁয়াশায়। এপিডিআরের মতো গণ সংগঠনও এর প্রতিবাদে আসরে নেমেছে।