রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
তবে সাতসকালে ফের থানায় ফের হাজির ওই মক্কেল। সঙ্গে আরও কয়েকজন। চোখ জবা ফুলের মতো লাল হলেও রাতের সেই উগ্র মূর্তি এখন নেই। নরম গলায় বক্তব্য, ‘স্যার, মিউচুয়াল হলে গিয়েছে। কমপ্লেন তুলে নিন।’ কথাটা শুনে হাঁ হয়ে ওঁদের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন অফিসার। বললেন, ‘এফআইআর হয়েছে অর্থাৎ মামলা শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ তোলা সম্ভব নয়।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা। সবাই মিলে প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন টেবিলে। বক্তব্য, ‘কমপ্লেন তুলতেই হবে স্যার। মিউচুয়াল হয়ে গিয়েছে তো।’
এক ছুটির সন্ধ্যায় নবীনা সিনেমা হলের পাশে একটি জায়গায় আসর বসিয়েছিল ওই তিনজন। রাত বাড়লে নেশাও চড়ে। হালকা ফাজলামি থেকে হঠাৎ মতানৈক্য। তারপর মারধর, থানায় আগমন এবং অভিযোগ দায়ের। তবে সকালে তিনজনের পরিবার একত্র হয়ে ঠিক করে ছেলেগুলি একই পাড়ার। ফলে নিজেদের সমস্যা নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে নেওয়া ভালো। তা করতে সবাই মিলে ফের থানায় আসে। কিন্তু পুলিস জানায়, মিউচুয়ালের দরজা বন্ধ। অফিসার বলেন, ‘আইনের যে ধারায় মামলা হয়েছে তাতে থানায় মিটমাট করা সম্ভব নয়।’ তবে তিন পরিবারই নাছোড়। তাঁরা মামলা-মোকদ্দমার খপ্পরে যেতে চান না বলে বারবার দাবি জানাতে থাকেন। কিন্তু পুলিস সাফ জানায়, কিছু করা কোনওভাবে সম্ভব নয়। মিউচুয়াল করতে হলে কোর্টে গিয়েই করতে হবে।