রাহুল চক্রবর্তী ও অমিত চৌধুরী, সিঙ্গুর: বিদেশযাত্রার প্রাক্কালে বিমানবন্দরে তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে ইডির নোটিস ধরানোর পিছনে বড়সড় অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, বিদেশযাত্রার আগে ইডি’কে জানাতে হবে। সেই মতো গত ৩ জুন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে মেল করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও এহেন পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই।’ তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির হুগলি-পর্ব সোমবার শুরু করেছেন অভিষেক। জাঙ্গিপাড়া, ফুরফুরা শরিফ হয়ে সিঙ্গুর—জনজোয়ার, উন্মাদনা, উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছেন তিনি। এদিন রাতে সিঙ্গুরের অধিবেশন ও রাত্রিবাস পর্বে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক। দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমার সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে পেরে উঠতে পারছে না ওরা (বিজেপি)। তাই আমার স্ত্রী, মেয়ে ও পুত্রকে ধরতে চাইছে ওরা। এভাবে আমাকে দমাতে পারবে না। আবার চ্যালেঞ্জ করলাম, ক্ষমতা থাকলে আমাকে ও স্ত্রী ও সন্তানদের গ্রেপ্তার করে দেখাক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে উচ্চ আদালতে যাচ্ছি।’ তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগ এনে প্রায়শই আক্রমণ করে বিরোধীরা। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে অভিষেক বলেন, ‘সিআইএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকে এয়ারপোর্ট। সেখানে যত সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, তা পরীক্ষা করা হোক। আমার স্ত্রীর ব্যাগ থেকে দু’গ্রামও সোনা পাওয়া গিয়েছে কি না, তা প্রমাণ করে দেখাক।’
উত্তরবঙ্গ থেকে হুগলির গঙ্গাপাড়ে আসার পথে অভিষেকের ভাবমূর্তি যে আড়েবহরে বেড়েছে, এদিন আমজনতার কৌতূহলে মিলেছে তার প্রমাণ। এদিন প্রায় চার ঘণ্টা জনসংযোগ সেরেছেন অভিষেক। জাঙ্গিপাড়া থেকে সিঙ্গুর পর্যন্ত পৌঁছনোর পথে প্রতিটি মোড়ে মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁকে ঘিরেই আন্দোলিত হয়েছে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ভিড়। আম জনতার সঙ্গেই যে তিনি শুধু কথা বলেছেন, তা নয়। ফুরফুরা শরিফের মাজারে গিয়ে নিয়েছেন আশীর্বাদও। অভিষেক বলেন, আগেও ফুরফুরার দরবারে এসেছি। মাঝে বছর পাঁচেক আসা হয়নি। এই পবিত্রভূমি উন্নত হওয়ার, আত্মশক্তিতে বলীয়ান হওয়ার বার্তা দেয়।