কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আরপিএফ সূত্রের খবর, এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এই চার ‘ভুয়ো’ টিটিই’কে পাকড়াও করেন ‘বৈধ’ টিটিইরা। গত কয়েকদিন ধরেই ট্রেনে ভেন্ডার সহ বিভিন্ন কামরায় উঠে এই চারজন সন্দেহজনক কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। ‘বৈধ’ টিটিই’দের একাংশ এ নিয়ে তক্কে তক্কে ছিলেন। এদিন সুযোগ পেতেই প্রতারকদের জালে তোলে টিটিই’রা। জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ আরও বাড়ে। তখন তাঁরা তাঁদের নিয়োগপত্র দেখান। রেলকর্মীদের দাবি, কর্মস্থলে কেউ নিয়োগপত্র সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে যান নাকি? তাছাড়া ওই নিয়োগপত্রগুলি ভুয়ো। সূত্রের খবর, ধৃতরা প্রতারণার শিকার। মোটা টাকার বিনিময়ে রেলে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। প্রতারকরা তাঁদের ‘কর্মস্থলে’ ছেড়ে দিয়ে চম্পট দিয়েছে। যদিও রেলকর্তাদের অপর একটি অংশ এতটা সরলীকরণে রাজি নয়। তাঁদের বক্তব্য, প্রতারকরা গোটা বিষয়টি গুলিয়ে দিতেই এই ধরনের ফাঁদ পেতেছে। কেননা, টিটিই’দের প্রতিদিন কোন জায়গায় ডিউটি করতে হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ডিউটি শেষে আদায় হওয়া জরিমানার অর্থ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করতে হয়। যা আদপে রেলের রাজকোষে জমা পড়ে।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, ধৃতরা কোথায় ডিউটিতে জয়েন করেছিলেন? কার কাছে তাঁরা রিপোর্ট করতেন? জরিমানা বাবদ সংগৃহীত অর্থ কার পকেটে ঢুকত? এক্ষেত্রে ভারতীয় রেল তার হকের টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের দৃঢ় ধারণা, রেলের নিজস্ব কর্মী-অফিসারদের যোগসাজশ না থাকলে এই ঘটনা ঘটা অসম্ভব। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে ভুয়ো আইএএস, আইপিএস, ডাক্তার, শিক্ষক গ্রেপ্তারের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এবার ‘ভুয়ো’ টিটিই’র দাবি অনুযায়ী তাঁরাই প্রতারণার শিকার হয়ে মোটা টাকা খুইয়েছেন। এমন ঘটনা নতুন। পূর্ব রেল অবশ্য অনেক রাতে বিবৃতি দিয়ে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করলেও টাকার বিনিময়ে চাকরির প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছে।