বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, বারাসতের এক ব্যক্তি জমি কিনতে চেয়েছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি লক্ষ্য করেন, একটি সংবাদপত্রে জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছে একজন। নীচে একটি মোবাইল নম্বরও দেওয়া রয়েছে। সেই নম্বরে ফোন করেন ওই ব্যক্তি। অপরপ্রান্তে ভেসে ওঠে মহিলার কণ্ঠস্বর। সে ফোনে বলে, সল্টলেকের সিজে ব্লকে আসুন। মুখোমুখি কথা হবে। বারাসতের ওই ভদ্রলোক অগ্রিম টাকা নিয়ে ‘মহিলা’র দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। সিজে ব্লকে ওই ‘মহিলা’ দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে জমি নিয়ে দু’জনের মধ্যে বেশকিছু কথা হয়। এরপর অগ্রিমের প্রসঙ্গ উঠে আসে। জমি না দেখেই ওই ব্যক্তি বিশ্বাস করে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দেন।
কিন্তু, তারপর থেকে ওই ‘মহিলা’ তাঁর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। প্রতারিত হয়েছেন, বুঝতে পেরে বারাসতের ওই ব্যক্তি গত ২৮ মে বিধাননগর পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস ঘটনার তদন্তে নামে। ‘মহিলা’র খোঁজ শুরু হয়। পুলিস কর্মীরা জমি কিনতে চেয়ে তার মোবাইলে ফোন করে। একইভাবে ওই মহিলা সল্টলেকের সিজে ব্লকের কাছে আসতে বলে। বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিসের একটি টিম সাদা পোশাকে সেখানে হাজির হয়। মহিলার সঙ্গে প্রথমে জমি নিয়ে কথা শুরু হয়। তারপর পুলিস নিশ্চিত হয়ে যায়, এই সেই মহিলা। তারপরই তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। ধরা পড়ার পর পুলিস জানতে পারে, সে ‘মহিলা’ নয়, সে পুরুষ। নাম অনিন্দ্য। প্রতারণা করার জন্যই সে মহিলার ছদ্মবেশে ঘুরত, যাতে সে ধরা না পড়ে। পুলিস জানিয়েছে, একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে, সে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে অনেকের সঙ্গেই এই ধরনের প্রতারণা করেছে বলে অনুমান। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।