কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বুধবার কাঁথি উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের মুকুন্দপুরে রোড শো করে অভিষেক যান খেজুরি। রসুলপুর ফেরিঘাট পেরিয়ে মৎস্যজীবীদের কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। এই এলাকায় প্রায় ৮০ হাজার মানুষ মাছের ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। রবীন্দ্রনাথ বর, চঞ্চল রায়, অজিতকুমার দত্ত প্রমুখ মৎস্যজীবী জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে নানাবিধ সুবিধা পেয়েছেন তাঁরা। দুয়ারে সরকার থেকে তাঁরা বেশ তাড়াতাড়ি মৎস্যজীবীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড হাতে পেয়েছেন। সরকার আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে নজর দিলে তাঁরা উপকৃত হবেন বলে জানান মৎস্যজীবীরা।
অভিষেকের কাছে মৎস্যজীবীদের অনুরোধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য—কমিউনিটি হল, যন্ত্রচালিত নৌকা, আধুনিক জাল, মোটরসাইকেল, ইনসুলেটেড বক্স প্রদান প্রভৃতি। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, ফেরিঘাটে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্থানীয় সাংসদ। কিন্তু তা পূরণ হয়নি। ফেরিঘাট সংস্কার ও সেতুর দাবি ফের করেছেন তাঁরা। প্রবীণ মৎস্যজীবীদের ভাতা দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। তাঁরা এও স্বীকার করেন যে, মমতার জমানাতেই মৎস্যজীবীদের আয়পত্তর যথেষ্ট বেড়েছে।
খেজুরির বোগায় দীর্ঘ কথাবার্তার পর মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে অভিষেক বলেন, কেন্দ্রের জুলুমবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। প্রতিরোধ করুন। ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না। আপনারাই ভুক্তভোগী। কেন্দ্র থেকে বিজেপি না হটলে এই বঞ্চনা দূর হবে না। একসঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করুন।
অন্যদিকে, মাছচাষের জায়গায় বনদপ্তর থেকে গাছ লাগিয়ে দেওয়ায় অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তার সমাধানে বোগা থেকে একটা প্রতিনিধি দল বনমন্ত্রীর কাছে গিয়ে দেখা করবে বলে ঠিক হয়েছে।