কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতা দিলীপ যাদব বলেন, ওখানে কোনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা সমস্যার মূলে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত সাফল্য পাব। তবে আপাতত আগুন ধরলেই যাতে তা নিভিয়ে ফেলা যায়, সেজন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা একটি স্থায়ী পাম্প ওখানে বসিয়েছি। বুধবারও আগুন ধরার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস অতীতের মতো সমস্যা এদিন হয়নি। এ প্রসঙ্গে সিপিএম জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই সমস্যা চলছে। স্থানীয় মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। অথচ পুরসভা স্থায়ী সমাধান পাচ্ছে না। এই ব্যর্থতার দায় পুরকর্তাদেরই নিতে হবে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষপর্ব থেকে বারবার উত্তরপাড়ার ভাগাড়ে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে। গত ৩ মার্চ ভাগাড়ে ভয়াবহ আগুন ধরেছিল। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সেই আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। সেদিন আগুনের থেকেও বেশি সমস্যা হয়েছিল ধোঁয়ায়। সেদিন দুপুর থেকেই মাখলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে বাড়িছাড়া হতে হয়। বিষাক্ত ধোঁয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আগুন নেভানোর তদারকিতে গিয়ে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব নিজেও। তারপরে আরও একবার একইভাবে ভাগাড়ে আগুন লেগে ধোঁয়া ছড়াতে শুরু করেছিল। সেবারও বাসিন্দাদের তীব্র ভোগান্তি হয়। সেই সময় পুরসভা স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ যে কিছু হয়নি, বুধবার ফের তা স্পষ্ট হয়েছে। তবে নাগরিকদের একাংশের দাবি, আচমকা আগুন লেগে যাচ্ছে এমন নয়। অনেকেই রাতের পর রাত ভাগাড় থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেছেন, কখনও গন্ধ পেয়েছেন। কিন্তু পুরসভা তার আঁচ পাচ্ছে না। ফলে দায়বদ্ধতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।