বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্বাভাবিকভাবেই পুর কর্তৃপক্ষ নিজেদের ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের কাছে বিষয়টি জানতে চায়। তাতে নথিপত্র ঘেঁটে ওই বিভাগ জানিয়েছে, ভরত হাতি নামে কাউকে পুরসভা কোনও ট্রেড লাইসেন্স দেয়নি। বুধবার সে কথা জানান পুর চেয়ারম্যান ও বিধায়ক দুলাল দাস। তিনি বলেন, আমরা কোনও ট্রেড লাইসেন্স দিইনি। তার মানে কি পুর অনুমোদন ছাড়াই গোপনে বসত এলাকার ভিতর ওই বিপজ্জনক ব্যবসা চলছিল? চেয়ারম্যান বলেন, ঠিক তাই। তাহলে এই ঘটনার পর এ ব্যাপারে কী করবেন? দুলালবাবু বলেন, বসত এলাকার ভিতর যাতে আগামী দিনে এমন ঘটনা না ঘটে, সেজন্য নজরদারি চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আলোচনা করে তার রূপরেখা ঠিক করতে হবে। পাশাপাশি এটাও ভাবা হয়েছে, এখন থেকে মহেশতলা পুরসভায় যে কটি আতসবাজির দোকান আছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার সময় ভালো করে যাচাই করা হবে। অর্থাৎ পুরসভা চাইছে, যাঁরা লাইসেন্স নিয়ে সব নিয়ম মেনে আলোর বাজি তৈরির পথে যেতে চাইছেন, তাঁদের আরও সতর্ক হয়ে এগতে হবে।
এদিকে, বুধবারই তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে একটি আতসবাজি তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে কমপক্ষে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও ১৫ জন। এই প্রসঙ্গ টেনে দুলালবাবু বলেন, আমাদের এখানে সরকার অনেক কড়া। কিন্ত তামিলনাড়ুতে তা নয়। তাই ওখানে প্রায়ই এমন হচ্ছে। এদিনও হয়েছে। অন্যদিকে, এদিনই দুপুরে মহেশতলায় বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখে তিন সদস্যর একটি ফরেন্সিক টিম। ঘরের ভিতর যেখানে বাজি তৈরি হচ্ছিল, সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন টিমের প্রধান দেবাশিস সাহা। তাঁর সঙ্গে পুলিসও ছিল। দেবাশিসবাবুকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নমুনা সব ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট আসার পর সব বলব। ঘটনাস্থলে পুলিস ও ফরেন্সিক। -নিজস্ব চিত্র