পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কলকাতা পুলিসের স্টলটিতে চারটি ভাগ। প্রথমে, ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধি, একদম শেষে নারকোটিক সেল। আর স্টলের একদম মধ্যমণি হয়ে রয়েছে সাইবার পুলিস স্টেশন ও ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার অফিসাররা। তাঁদের সামনে টেবিলে রাখা একাধিক লিফলেট। কোনওটাতে সাইব্রো-র ছবি দেওয়া। তাতে অপরিচিত ব্যক্তিকে ওটিপি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর শেয়ার না করার কথা লেখা রয়েছে। আবার কোনও লিফলেটে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সংক্রান্ত বেশ কিছু নিয়মাবলি। অনলাইন গেমে আসক্ত না হয়ে পড়ার বার্তাও দেওয়া রয়েছে ওই লিফলেটে। প্রতিটি টেবিলের পিছনে চলছে টিভি স্ক্রিন। তাতে ভেসে উঠছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
রবিবারের সন্ধ্যার বইমেলা তখন জমে উঠেছে। কলকাতা পুলিসের স্টল থেকে ঘোষণা করা হল, এবার ক্যুইজ প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। ওয়াই-ফাইয়ের পুরো কথা কি? ভিড়ের মধ্যে থেকে ছুটে এল এক খুদে। সঙ্গে তার মা। সঠিক উত্তর দিয়ে পুরস্কার জিতে নিল সে। ততক্ষণে তার মায়ের চোখ পড়েছে সাইবার পুলিসের টেবিলের দিকে। উপস্থিত পুলিস অফিসারকে তাঁর সোজাসাপ্টা প্রশ্ন, ‘এই যে প্রতিদিন নতুন নতুন গল্প তৈরি করে ফোন, মেসেজ আসছে, বুঝব কী করে কোনটা নকল?’ সাইবারের অফিসারের জবাব, ‘অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে আসা কোনও মেসেজই বিশ্বাস করবেন না। তা যাচাই করে নেবেন। পাশাপাশি, কোনও লিঙ্কে ক্লিক করার আগেও দু’বার ভাববেন। তা না হলে আপনার অজান্তেই ফোনটি হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তার জেরে ওটিপি শেয়ার না করলেও ব্যাঙ্ক থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
অফিসার যখন এই পাঠ দিচ্ছেন, ততক্ষণে আশপাশে আরও ভিড় জমতে শুরু করে দিয়েছে। পাশেই দাঁড়িয়ে সেকথা শুনছিলেন যাদবপুরের বাসিন্দা অভিরূপ সরকার। তিনি বললেন, পুজোর আগে আমার ব্যাঙ্ক থেকেই আচমকা ১০ হাজার টাকা করে দু’বার ডেবিট হয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। টাকা উদ্ধার হয়নি। তবে পুলিস জানিয়েছিল, ছেলের মোবাইল গেম খেলার জন্যই এই কাণ্ড ঘটেছে। অভিরূপবাবুর কথায়, বইমেলায় কলকাতা পুলিসের এই উদ্যোগটি ভালো। সবসময়ে তো পুলিসের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যায় না। এখানে অন্তত বই কেনার পাশাপাশি মানুষ সচেতন হতে পারবেন। নিজস্ব চিত্র