কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
‘তবে বইমেলা শুরুর দিন থেকে খুব একটা বিক্রি হচ্ছিল না। শনি-রবিবার বিক্রি বেড়েছে আবার’, বলছিলেন ‘কাগজের ঠোঙা’র প্রকাশক প্রিয়াঙ্কা গুহ। বড় প্রকাশকদের বিরাট স্টল পাঠকদের মূল আকর্ষণের জায়গা। মেলার যেকোনও প্রান্ত থেকেই তাদের দেখা যায়। ‘কলিকাতা লেটারপ্রেস’-এর কর্ণধার পলাশ বর্মন বলছিলেন, ‘উদ্যোক্তাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, আমরা অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ গবেষণামূলক বই প্রকাশ করি। বড় প্রকাশকদের পাঠক এমনিতেই খুঁজে নেবেন। আমাদের ছোট প্রকাশকদের স্টলগুলোও একটু ভালো জায়গায় দিলে পাঠকদের চোখে পড়ে।’ ছোট প্রকাশক, লিটল ম্যাগাজিনদের মাথা তুলে দাঁড়াবার জায়গা এই বইমেলা। তাদের প্রচারের মাধ্যম পাঠকের মৌখিক প্রচার, সোশ্যাল মিডিয়া। এমত অবস্থায় মেলার দুই প্রান্তে লিটল ম্যাগাজিন ভাগ হয়ে যাওয়ায় গতবছর বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন প্রকাশক-পাঠকরা। প্রকাশক-ম্যাগাজিন ‘নাটমন্দির’-এর সোহেল ইসলাম বলছিলেন, ‘গতবছর আমাদের টেবিল হয়েছিল সেই ২ নম্বর গেটে। ফলে অনেক পাঠক হারিয়েছি। সেইদিক থেকে এবছর একসসঙ্গে থাকার ফলে লাভ হয়েছে।’ লিটল ম্যাগাজিন মানে আত্মার সংযোগ। ‘শব্দযান’-এর কর্ণধার ব্রতীন সরকার বলছিলেন, ‘আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করি। সকলেই আমরা একে অপরের বন্ধু। আলাদা হয়ে গেলে আর্থনৈতিক ক্ষতি তো বটেই। পাশাপাশি মনটাও খারাপ হয়ে যায়।’ প্যাভেলিয়ানের ঠিক পাশে মুক্তমঞ্চে চলছে কবিতাপাঠ, গান, ম্যাগাজিনের নতুন সংখ্যার উন্মোচন।
এদিনই স্বাধীনতার ৭৫ বছর স্মরণ করে প্রকাশিত হল ‘অঙ্কুরিশা’র বইমেলা সংখ্যা। এককালে এই লিটল ম্যাগাজিন প্যাভেলিয়ান থেকেই পথচলা শুরু করেছিল ‘ইতিকথা পাবলিকেশন’। প্রকাশনার কর্ণধার শূদ্রক উপাধ্যায় বলছিলেন, ‘লিটল ম্যাগাজিন প্যাভেলিয়ানের সঙ্গে একটা আত্মিক যোগ আছে। অনেকে ওখানে গিয়ে আমাদের দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞেস করছেন, ইতিকথা কোথায়? আবার এখানে এসে লোকে লিটল ম্যাগাজিনের কথা জিজ্ঞেস করছে।’
সকাল থেকেই চড়া রোদ। জুলপি বেয়ে গড়াচ্ছে ঘাম। পিঠে অনাদরে ঝুলছে সোয়েটার আর মাথায় ছাতা, এভাবেই পাতলা ভিড় দিয়ে শুরু হয়েছিল এদিনের বইপার্বণ। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলার উদ্যোক্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেই সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। নিজস্ব চিত্র