বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলির হাজার হাজার মানুষ ট্রেনে শিয়ালদহ এসে এসি মেট্রো ধরে বইমেলায় গিয়েছেন। এবং একই পথে ফিরেছেন। জানা গিয়েছে, শনিবারকে ছাপিয়ে গিয়েছে রবিবার যাত্রীসংখ্যা। প্রসঙ্গত, বইমেলার জন্য ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে স্পেশাল সার্ভিস চালু করেছে রেল। বছরের অন্যান্য রবিবার এই রুটে মেট্রো চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। বইমেলার জন্য রবিবার পরিষেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। শনিবারের তুলনায় প্রথম রবিবারেই কয়েক হাজার অতিরিক্ত যাত্রী পেয়েছে এই রুট। রবিবারের প্রকৃত যাত্রী সংখ্যা জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে মেট্রো।
বছরের অন্যান্য সময় সোম থেকে শনিবার ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে দিনে ১০৬টি মেট্রো চলাচল করে। বইমেলা উপলক্ষ্যে ৩০ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি সপ্তাহের এই ছ’দিন বাড়তি ১৪টি মেট্রো পাবেন যাত্রীরা। অর্থাৎ বইমেলা চলাকালীন সবমিলিয়ে ১২০টি মেট্রো চলবে। সকাল ৬টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চালু থাকবে ট্রেন চলাচল। বইমেলার জন্য ৫ এবং ১২ ফেব্রুয়ারি এই দুই রবিবারও খোলা থাকবে ইস্ট-ওয়েস্ট রুট। সব মিলিয়ে ছুটির দিনে বইপ্রেমীদের জন্য ৮০টি বিশেষ মেট্রো পরিষেবা দেবে রেল। বেলা ১২টা ৫০ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই রুটে মেট্রো চলাচল করবে ছুটির দিনে। দিনের অধিকাংশ সময় ১২ মিনিটের ব্যবধানে মেট্রো পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রথম দফায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালু হয়েছিল। তারপর ওই বছর ৫ অক্টোবর রুটটি ফুলবাগান পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়। ২০২২ সালের ১৪ জুলাই তৃতীয় পর্বে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো শিয়ালদহ পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। তবে চালুর প্রথম থেকেই যাত্রীসংখ্যা কম এই রুটে। মেট্রোর পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই রুটটি কলকাতা ও হাওড়ার সংযোগকারী। তবে বউবাজার বিপর্যয় সহ একাধিক কারণে প্রকল্পটি রুগ্ন হয়ে পড়েছে। এবার বইমেলার ‘অমৃত সুধায়’ ফের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। যদিও বইমেলা শেষ হলেই ফের যাত্রী সংখ্যা কয়েক হাজার কমে যাবে বলে মেট্রো কর্তাদের আশঙ্কা। আবার পশ্চিম মুখে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত পরিষেবা সম্প্রসারিত হলে যাত্রী সংখ্যা লাফ দিয়ে বাড়বে বলে মনে করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।