নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাতে স্পোর্টস বাইকের চাবি। আর তাতেই শহরের রাস্তায় গতির খেলায় মাতে তরুণ প্রজন্ম। এজন্য তাদের সবচেয়ে পছন্দ চওড়া, ঝাঁ চকচকে রাস্তা। পুলিসের চোখ দেখেছে, রাত হলেই শ্যামবাজার ও বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ড চত্বরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বেপরোয়া বাইকচালকরা। বৃহস্পতিবার গোটা দিন শহরজুড়ে ওত পেতেছিল কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক বিভাগ। এদিন বিপজ্জনক গতিতে বাইক চালানোর অভিযোগে শহরজুড়ে মোট ২১৯ জনকে জরিমানা করেছে পুলিস। পরিসংখ্যান বলছে, শহরের দু’টি এলাকায় সবচেয়ে বেশি ‘বিপজ্জনক’ গতিতে মাতছে বাইকচালকরা। প্রথমটি, শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের অন্তর্ভুক্ত বিটি রোড। এখানে জরিমানার সংখ্যা ২৫। অপরটি, বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডের অধীনে থাকা ইএম বাইপাস। সেখানে জরিমানা করা হয়েছে ২৬ জনকে।
লালাবাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্যামবাজার ও বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ড চত্বরে অস্বাভাবিক গতিতে বাইক ছুটছে। তাদের রুখতেই স্পেশাল ড্রাইভের আয়োজন করা হয়। তাতে পুলিসের আপাত অনুমানের সঙ্গে বাস্তবে জরিমানা পরিসংখ্যান মিলে গিয়েছে। এই দু’টি এলাকা ছাড়া শহরের আরও তিনটি গার্ডে ১৭টি করে বিপজ্জনকভাবে বাইক ছোটানোর মামলা হয়েছে। সেগুলি হল—উল্টোডাঙা, গড়িয়া ও  সাউথ ট্রাফিক গার্ড। এরপরেই রয়েছে শিয়ালদহ ও ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ড। সেখানে একই অভিযোগে যথাক্রমে ১৫ ও ১৪ টি মামলা হয়েছে। 
কলকাতা পুলিস সূত্রের খবর, এদিন শহরজুড়ে বেপরোয়া বাইকচালকদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। তাতে বিভিন্ন ট্রাফিক বিধি অমান্যের অভিযোগে মোট ১৪৪৮ জনকে জরিমানা করা হয়। তাতে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য, বেআইনি পার্কিং, বিপজ্জনক গতিসহ একাধিক বিধি লঙ্ঘনে শহরের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ড চত্বর। সেখানে এদিন মোট ১৮০ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। ওই এলাকার রবীন্দ্র সরণিতে বেআইনি পার্কিংয়ের অভিযোগে ৯৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। সেখানে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্যের জেরে মামলার সংখ্যা ২৪টি। 
শুধু তাই নয়, মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালানোর অভিযোগে এদিন আরও সাতজনকে জরিমানা করা হয়েছে জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ড চত্বরে। যা কলকাতার যেকোনও ট্রাফিক গার্ডের মধ্যে সর্বাধিক।