বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর নিউ আলিপুরের সার্কাস অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন তৃষিত। ছেলের খোঁজ না পাওয়ায় পরের দিন অর্থাৎ ৭ নভেম্বর নিউ আলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তৃষিতের বাবা তারকেশ্বর বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, লিখিত অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তা এফআইআর হিসেবে দায়ের করতে চায়নি পুলিস। অবশেষে লিখিত অভিযোগ জানানোর প্রায় ৮ মাস পর ২০২০ সালের ১৬ জুলাই এফআইআর দায়ের করে পুলিস। কিন্তু তারপরও ছেলের হদিশ না মেলায় অবশেষে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তারকেশ্বরবাবু। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ ২০২১ সালের ১ অক্টোবর ডিআইজি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি দু’মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্টও জমা দিতে বলে আদালত। পরবর্তী সময়ে সিআইডি হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানায়, ওই ছাত্র বাংলাদেশে চলে গিয়ে থাকতে পারে। ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, কিন্তু কোনও তথ্য মেলেনি। সিআইডির তরফে জানানো হয়, বাংলাদেশের একটি ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু সেটির অস্তিত্ব নেই। সিআইডি তদন্তেও কোন সুরাহা না হওয়ায় এবং বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পৌঁছে যাওয়ায় ফের সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তারকেশ্বরবাবু। সেই আবেদনের শুনানি হয় বিচারপতি মান্থার এজলাসে। যেহেতু ঘটনায় ভিন দেশের যোগ রয়েছে তাই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছেন বিচারপতি।