কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সব চেয়ে কম টাকার দরপত্র জমা দেওয়া, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং দক্ষ সংস্থা কাজের বরাত পায়। সূত্রের খবর, কাজ পাওয়া নিশ্চিত করতে প্রকল্পের আনুমানিক খরচ কম দেখিয়ে টেন্ডারে অংশ নেয় বেশ কিছু ঠিকাদার সংস্থা। অনেক সময় দেখা যায়, এরকম কোনও ঠিকাদার সংস্থা কাজের বরাত পেয়ে পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান করে উঠতে পারে না। কারণ, কম দরপত্র দেওয়ার কারণে সেই পরিমাণ টাকাই পায় সরকারের কাছ থেকে। এর জেরে প্রকল্প শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কাজ করতে সরকার বা প্রশাসনের সদিচ্ছার কোনও অভাব না থাকলেও এই কারণে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাদের। এই সমস্যায় ইতি টানতে উদ্যোগী হয়েছে দপ্তর। জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ নিশ্চিত করতে প্রকল্প খরচের ১০ শতাংশ টাকা সরকারের কাছে জমা রাখতে হয় ঠিকাদার সংস্থাকে। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে টাকা ফেরত পায় না সংস্থাগুলি। টাকা জমা পড়ে রাজ্যের কোষাগারে। চুক্তির খেলাপ হলে জমা রাখা টাকা কেটে নেওয়া হয় ‘পেনাল্টি’ হিসেবে। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ নিয়ে চাপ বাড়াতে সেই পেনাল্টির অঙ্ক আরও ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে পেনাল্টি হতে পারে প্রকল্পের মোট খরচের ২৫ শতাংশ টাকা। কাজের গুণমান ঠিক রাখতে ইতিমধ্যে পৃথক ভিজিলেন্স কমিটি গড়েছে সেচদপ্তর। এবার এই পেনাল্টির হার বাড়িয়ে দপ্তরের প্রকল্পগুলির দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে রাজ্য। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।