বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাশাপাশি চলে গিয়েছে তিনটি ট্রেন লাইন। মাঝের লাইনের উপর বসেই খেলছিল চার কিশোর। সেই সময় আপ ও ডাউন দু’টি লাইনেই একসঙ্গে ট্রেন চলে আসে। দু’দিক থেকেই প্রবল হাওয়ার দাপটে দেহের ভারসাম্য রাখতে পারেনি তারা। একইসঙ্গে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি হওয়ায় তাদের টেনে নেয় ট্রেনের চাকা। তিন কিশোর আমিনুর মোল্লা, জসিম মোল্লা, শেখ নাসিরউদ্দিন কাটা পড়ে তৎক্ষণাৎ। প্রত্যেকেরই বয়স ১৪-১৫ বছর। আহত হয় আরও এক কিশোর। ঘটনাস্থলে গিয়ে রেল পুলিস তিনজন কিশোরের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। আহতকে কিশোরকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ওই কিশোররা উলুবেড়িয়া থানা এলাকার বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ডাঙার বাসিন্দা।
উলুবেড়িয়া স্টেশন কিছুটা দূরে ডোমপাড়ার কাছে ওভারব্রিজ তৈরি হয়েছে। আগে সেখানে একটি লেভেল ক্রসিং ছিল। ওভারব্রিজ তৈরি হওয়ার পর সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ মানুষই এই রাস্তা দিয়ে রেললাইন পারাপার করেন। এদিন সেখানেই সেকেন্ড লাইনের উপরে বসে খেলছিল চার কিশোর। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে তিন কিশোর। তাদের মধ্যে দু’জন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আরেকজন ট্রেনের চাকার সঙ্গে জড়িয়ে যায়। ট্রেনটি ডোমপাড়া লেভেল ক্রসিং থেকে উলুবেড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় ওই কিশোরকে। সেখানেই পাওয়া যায় ওই কিশোরের খণ্ডিত দেহ। চতুর্থজন গুরুতর আহত। একাদশীর সন্ধ্যায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ উলুবেড়িয়ার বহিরা গ্রাম।
এদিকে, চাকদহে দশমীর রাতে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক কিশোরের। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। মৃতের নাম রোহিত শীল (১১)। জানা গিয়েছে, বুধবার কল্যাণী থেকে রাতে একটি ম্যাজিক গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন চাকদহের বেলে এলাকার একদল বাসিন্দা। সেই সময় চাকদহ বনগাঁ রোডে বিষ্ণুপুর এলাকায় উল্টোদিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে তাঁদের গাড়ির ধাক্কা লাগে। ঘটনায় ম্যাজিক গাড়িতে থাকা রোহিত ও আরেক ব্যক্তি আহত হন। পরে হাসপাতালে রোহিতের মৃত্যু হয়।