তুচ্ছ কারণে অশান্তিতে দাম্পত্যে চাপ বৃদ্ধি। ব্যবসায় ভালো কেনাবেচা হবে। আর্থিক উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
কেষ্টপুরের বাসিন্দা মলিনা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক প্রৌঢ়া দুপুরে অফিস যান। তাঁর বক্তব্য, ‘কোনওদিন সাইকেল এসে ধাক্কা দেয়। কোনওদিন অটোচালক গালিগালাজ করে। প্রতিদিন প্রাণ হাতে করে ভিআইপি রোডের মাঝখানে গিয়ে বাস ধরতে হয়।’ মেয়েকে নিয়ে সল্টলেক থেকে বিকেল চারটে নাগাদ বাড়ি ফেরেন শম্পালি জানা। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাটাকে নিয়ে এই রাস্তায় হাঁটতে খুব ভয় হয়। পিছন থেকে রিকশ বা সাইকেল চলে আসে ঘাড়ের উপর। সামনে রেষারেষি করতে করতে বাস প্রায় পায়ের কাছে এসে ব্রেক কষে। দিশাহারা হয়ে যাই আমরা।’ কেষ্টপুরে সরকার নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ডে কোনও বাস দাঁড়ায় না। অধিকাংশ বাস বাগুইআটি থেকে রেষারেষি করতে করতে কেষ্টপুর স্টপে এসে দাঁড়ায়। প্রথমে আসা বাসটি এমন আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে যায় যে, পিছনে থাকা বাসগুলিতে উঠতে গেলে মাঝরাস্তায় যেতেই হবে। লাইন দিয়ে বাস দাঁড়িয়ে যায় ভিআইপি রোডে। আবার ভিআইপি রোডে ওঠার আগে কেষ্টপুরের ভিতরের রাস্তা দিয়ে আসা গাড়িগুলি দাঁড়িয়ে যায় কেষ্টপুর রোডের উপর। সেখানেও লম্বা লাইন হয়ে যায়। ঠিক মোড়ের মাথায় রয়েছে বালিকা বিদ্যালয়। স্কুলের এক ছাত্রী বলে, ‘হর্নের আওয়াজে শিক্ষিকার কথা শুনতে অসুবিধা হয়। এই রাস্তায় সারাক্ষণই গাড়ির হর্ন বাজে।’
কেষ্টপুর ও ভিআইপি রোডের ধারে একাধিক হকার ব্যবসা করেন। তাঁদের জন্যও রাস্তা অনেকটা ছোট হয়ে গিয়েছে বলে জানান পথচারীরা। ফলে প্রায় সবাইকে রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হয়। রেষারেষি করতে করতে আসা বাসের জন্য বাস্তবিকই প্রাণ হাতে নিয়ে দাঁড়াতে হয় মানুষকে। তার উপর ভিআইপি রোডের এই অংশে রিকশ, অটো, সাইকেল ও বাইক দু’দিক দিয়েই যাতায়াত করে ফলে বিপদের সম্ভাবনা রোজই বাড়ছে মানুষের। সাধারণ মানুষের দাবি, পুলিসের নজরদারি থাকলে বিপদের সম্ভাবনা কমতে পারে।