কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, আমেরিকায় চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার ২০ জন যুবককে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল একটি চক্র। কলকাতায় প্রথমে তাঁদের একটি হোটেলে তোলা হয়। তারপর নিউটাউনে ওই চিকিৎসকের ফ্ল্যাটে তাঁদের পণবন্দি করে রাখা হয়। চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর রবিবার ভোরে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিস জানিয়েছে, নিউটাউনের ইকো আরবান ভিলেজে ডাঃ গৌরচন্দ্র বিশ্বাসের পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে। নাম ফ্যামিলি ক্লিনিক। চক্রের সদস্যরা ভাড়া চাইলে গৌরচন্দ্রবাবু তাঁর বহুতলের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া দেন। ২৫ হাজার টাকায় একমাসের জন্য চুক্তি হয়। সেই চুক্তিপত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
পুলিসের দাবি, তিনি যে ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছিলেন, তা থানায় জানাননি। নিয়ম অনুযায়ী, ভাড়াটিয়ার তথ্য জানাতে হয়। দ্বিতীয়ত, ওই ফ্ল্যাটের নীচেই তিনি রোগী দেখেন। তাঁর দুই মেয়েও চিকিৎসক। বাড়িতে কেয়ারটেকার রয়েছেন। একটি ফ্ল্যাটে দিনের পর দিন ২০ জন ভিন রাজ্যের যুবক ও ওই চক্রের পাঁচ-ছ’জন সদস্য থাকলেও কেন ওই চিকিৎসক ও কেয়ারটেকারের সন্দেহ জাগেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তৃতীয়ত, দিনের পর দিন ওই যুবকরা ওই ফ্ল্যাটেই ছিলেন। তাঁদের জন্য বাইরে থেকে খাবার আসত, অথচ কিছুই টের পেলেন না চিকিৎসক? গাফিলতির কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেয়ারটেকারের কাজই হল নজরদারি করা। কিন্তু, কীভাবে এতবড় ঘটনা তাঁর নজর এড়িয়ে গেল? প্রায় একমাস ওই যুবকদের আটকে রাখা হয়েছিল, অথচ তিনি কিছুই জানতে পারলেন না কেন? একারণে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভিন রাজ্যের যুবকদের বিমানবন্দর থেকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া, সেখান থেকে ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া, তাদের দেখভালের জন্য বেশ কয়েকজন এজেন্ট নিয়োগ করেছিল চক্রের পান্ডারা। এদিন নিউটাউনের একটি হোটেল থেকে এমন তিন এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারির ভয়েই তারা ওই হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিল। বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, চিকিৎসক, কেয়ারটেকার এবং ৩ এজেন্টকে ৪ দিনের পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।