কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবার বাগবাজার পুজোকে ঘিরে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। নির্বাচন ঘিরে গোলমাল হয়েছিল বিস্তর। পুজোকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিরাট প্রশ্নচিহ্ন। অগাস্ট মাসের শেষে বাগবাজার সর্বজনীনের উদ্যোক্তারা বাজেট কমাতে হবে ভেবে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন। তবে সে সব মেঘ কেটে পুজোর আগে বাগবাজারের আকাশ একেবারে ঝকঝকে। সেখানে উড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন। মুম্বইয়ের নামকরা এক আইসক্রিম সংস্থা এই ড্রোন শো করবে। বাগবাজার পুজো কমিটি ড্রোন শোয়ের জন্য তাদের আকাশ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সংস্থাটিকে। অভিনব এই শো ঘিরে ইতিমধ্যেই কলকাতা জুড়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। পুজোর অন্যতম পুজো উদ্যোক্তা পার্থ রায় জানিয়েছেন, ‘সাবেকি, সনাতনী রীতি অনুযায়ী আমাদের পুজো হয়। এবছর সেরকমই হবে। সঙ্গে চমক হিসেবে থাকবে ড্রোন শো। ওই সংস্থা প্রায় ৫০০ ড্রোন ওড়াবে। আকাশে দুর্গার মুখ ফুটে উঠবে।’
পুজো মণ্ডপে এতদিন চন্দননগরের আলোর কারিকুরি দেখত কলকাতা। এই ‘মিলেনিয়াল এজ’-এ এসে ড্রোন শো দেখতে চলেছে শহর। যা নিয়ে এখন থেকেই মোটামুটি সাড়া পরে গিয়েছে কলকাতা সহ আশপাশের শহরতলিতে। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা অভয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাগবাজারের পুজো নিজেই একটা ইতিহাস। সন্ধিপুজো থেকে আরতি, সিঁদুর খেলা থেকে মায়ের ভোগ সবকিছুর টানে দূর দূর থেকে মানুষ আসেন।’ অভয়বাবুর মুখ থেকেই জানা গিয়েছে, ১৯১৮ সালে বাগবাজার স্ট্রিটে নেবুবাগান বারোয়ারি পুজো শুরু হয়েছিল। সেই পুজোটাই পরে বাগবাজার মাঠে উঠে আসে। এখানে কর্পোরেশনের স্টোর ছিল। সেখানে পুজো করার অনুমতি দেয় কর্পোরেশন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু স্বয়ং এই পুজোর সভাপতি হয়েছিলেন। বাগবাজার চিরকালই সাবেকি ঢঙ বজায় রেখে পুজো করে। শোলার সাজের প্রতিমা, আলো, মণ্ডপ সবকিছুই ১০০ বছরের রীতি মেনেই হয়ে থাকে। কলকাতার প্রাচীন বারোয়ারিগুলোর মধ্যে বাগবাজার অন্যতম। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় পুজোর চারদিন। এবার পুজোর আকর্ষণে সংযোজিত হতে চলেছে ড্রোন শো।