বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের ভিতরে রয়েছে এই বনবিতান ‘বায়ো-ডায়ভার্সিটি’ পার্ক। ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত এখানে প্রচুর মানুষ প্রাতঃভ্রমণ করতে আসেন। প্রাতঃভ্রমণের জন্য এখানে কোনও প্রবেশমূল্য নেওয়া হতো না। তবে, সকাল ১০টার পর যাঁরা বেড়াতে আসতেন, তাঁদের জন্য প্রবেশমূল্য চালু ছিল। ১ আগস্ট থেকে সবার জন্যই প্রবেশমূল্য চালু করেছে বনদপ্তর। প্রাতঃভ্রমণকারীদের জন্য প্রবেশমূল্য ১০টাকা (একবার) এবং সকাল ১০টা পর যাঁরা বেড়াতে আসবেন, তাঁদের জন্য ৫০ টাকা (একবার)।
প্রাতঃভ্রমণকারীদের প্রবেশমূল্য চালু করার জন্য গত ৬ জুলাই বনদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছিল। বর্তমানে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে এই পার্কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভেলাপমেন্ট কর্পোরেশনকে। ওই বিজ্ঞপ্তির পর প্রাতঃভ্রমণকারীরা বনমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠিও দিয়েছেন। ১ আগস্ট থেকে বিক্ষোভকারী প্রাতঃভ্রমণকারী ভোর ৫টার সময় বনবিতানে আসছেন। কিন্তু, ভিতরে ঢুকছেন না। সকাল ৯টা পর্যন্ত তাঁরা গেটের বাইরে বসেই শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করছেন।
বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বনবিতানের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই প্রাতঃভ্রমণকারীদের জন্য এই প্রবেশমূল্য চালু হয়েছে। অনেক প্রাতঃভ্রমণকারী টিকিট কেটেই ঢুকছেন। কিছু মানুষ বিক্ষোভ করছেন। কিন্তু, প্রবেশমূল্য প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, আগামী ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার তাঁরা সকলে মিলে সল্টলেকের অরণ্য ভবনে যাবেন। স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার সামনে জড়ো হয়ে তাঁরা মিছিল করে যাবেন। সেখানে প্রবেশমূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানাবেন।