কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের ঠিক আগে পাঠানো এবারের এই ভিডিও বার্তার তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল, কেএলও প্রধান জীবন সিং দেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্ম এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি জোর হাত করে আপিল করছি, কামতাপুর রাজ্য ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমাদের মুক্তি দাও।’ সোয়া ছয় মিনিটের এই বার্তায় কেএলও চিফ জীবন সিং এবার খোলাখুলি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের এই স্বাধীন কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি বিজেপির সর্বভরতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সমর্থন করেছেন। তেমনই সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপির মূল চালিকা শক্তি আরএসএসও। তবে কোথায় , কবে বিজেপি সভাপতি এই দাবি সমর্থন করেছেন, তা অবশ্য খোলসা করেননি জীবন সিং। যদি জীবন সিংয়ের এই দাবি সত্যি হয়, তবে আগামী দিনের রাজ্য রাজনীতিতে এই ভিডিও ফুটেজ ঝড় তুলতে চলেছে। কারণ, প্রথম থেকেই এরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার এবং তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করে আসছে, সাম্প্রতিক সময়ে কেএলও’র মাথাচাড়া দেওয়ার নেপথ্যে বিজেপির মদত রয়েছে।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠবে, বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল কেএলও’র মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থন জানাতে যাচ্ছে কেন? এ রাজ্যের গোয়েন্দাদের একাংশ মনে করছেন, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের ছয় জেলায় থাকা রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ককে নিজেদের দিকে টেনে আনতেই এই কৌশল নিতে পারে বিজেপি। যদিও উত্তরবঙ্গের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবিতে সহানুভূতিশীল হলেও, বিজেপির রাজ্য বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সরাসরি কামতাপুর রাজ্যের সমর্থনে এখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।
এই ভিডিও বার্তার শুরুতে জীবন সিং অভিযোগ করেছেন, স্বাধীন ভারতে আমরা পরাধীন। সংখ্যালঘু। আমাদের মাতৃভাষার স্বীকৃতি নেই। ফুটেজের শেষ পর্বে এসে, উত্তরবঙ্গের ছয় জেলার ‘কামতাপুরবাসী’র উদ্দেশে তাঁর আহ্বান, স্বাধীনতা দিবসের দিন, আসুন, আমরা ‘শোক দিবস’ পালন করি। -ফাইল ছবি