পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জেলাওয়াড়ি সাংগঠনিক বৈঠক করছেন অভিষেক। শুক্রবার ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। জেলার সংগঠনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যান, শাখা সংগঠনের প্রধান ও বিধায়কদের কাছ থেকে জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেন অভিষেক। এরপর তিনি বার্তা দেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে। কোনওরকম অশান্তি, গন্ডগোল, গা-জোয়ারি বরদাস্ত করা হবে না।
বিশেষত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। যা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে প্রতিদিনই চড়া সুরে আক্রমণ করছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় তৃণমূলও একবাক্যে জানিয়ে দিয়েছে, দুর্নীতি কিংবা অনৈতিক কাজের সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে, দল তাঁর পাশে থাকবে না। এদিনের বৈঠকে অবশ্য পার্থ-অনুব্রতর প্রসঙ্গ উঠেনি। কিন্তু সূত্রের খবর, বৈঠকে অভিষেক বার্তা দিয়েছেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীকে সামনের সারিতে আনুন। আরও বেশি করে দলের কাজে তাঁকে দায়িত্ব দিন। এছাড়াও জানা গিয়েছে, বৈঠকে উল্লেখ করা হয়েছে, দলকে যিনি ভালোবাসেন, দলের সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করেন, দলের জন্য কাজ করতে আগ্রহী, তাঁকে আরও গুরুত্ব দেওয়া হোক। কিন্তু যে বা যাঁরা ব্যক্তিগত স্বার্থকে আগে গুরুত্ব দেন, তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে। নিজের নয়, জনগণের জন্য যে কাজ করতে চায়, সে গুরুত্ব পাবে।
এদিনের বৈঠকে বারবার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, মিলেমিশে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলের কাজ করতে হবে। নতুন-পুরনো সবাই একসঙ্গে থাকবে। কিন্তু প্রয়োজনবোধে কাউকে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। নতুন কেউ সেখানে আসবে। বিজেপি অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা মানুষের কাছে গিয়ে বোঝানোর বার্তা জেলা নেতৃত্বকে বৈঠকে দিয়েছেন অভিষেক। তবে পুরুলিয়া জেলায় দলের সংগঠনের কাজে শীর্ষ নেতৃত্ব খুশি নয়। জেলায় ৯টি বিধানসভার মধ্যে ২০২১ সালে তৃণমূল জিতেছে মাত্র তিনটি আসনে। এই জেলায় সংগঠনকে আরও মজবুত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে।