বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় শ্রম কমিশনারের কলকাতার অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে তাদের মূল অস্ত্র ছিল তৃণমূল অনুমোদিত ঠিকাকর্মী সংগঠনের তথ্যসমৃদ্ধ অভিযোগ। অভিযোগকারী সংগঠন বিএসএনএল ন্যাশনালিস্ট ঠিকা ওয়ার্কার্স কংগ্রেস বেশ কিছুদিন ধরে এ ব্যাপারে সক্রিয়। বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত একাধিক বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থা তাদের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পারিশ্রমিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। এই বঞ্চনার ব্যাপারে নালিশ জানালেও প্রধান নিয়োগকারী তথা প্রিন্সিপাল এমপ্লয়ার হিসেবে কলকাতা টেলিফোনস কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেছে। কনট্র্যাক্ট লেবার (রেগুলেশন অ্যান্ড অ্যাবলিশন) অ্যাক্ট মোতাবেক যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
সূত্রের খবর, মাস কয়েক আগে শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিলব হালদারের অভিযোগ পেয়ে ডেপুটি চিফ লেবার কমিশনারের দপ্তর প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। সেই অভিযোগপত্রে মিলববাবু চুক্তিভিত্তিক ঠিকাকর্মী নিয়োগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় শ্রম আইন পুরোপুরি মেনে চলার লিখিত নির্দেশের কথাও উল্লেখ করেন। অভিযোগের প্রাথমিক সারবত্তা থাকায় দপ্তর থেকে কলকাতা টেলিফোনস কর্তৃপক্ষের কৈফিয়ৎ তলব করা হয়। কিন্তু তাদের জবাব সন্তোষজনক বলে মনে করেনি শ্রমমন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট দপ্তর। হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও কোনও কাজ না হওয়ায় কেন্দ্রীয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সরাসরি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।
এ প্রসঙ্গে মিলববাবু বলেন, একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি কলকাতা টেলিফোনস কর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করে চলেছে। বিনা রেজিস্ট্রেশনে ঠিকাদার সংস্থাকে কোটি কোটি টাকার কাজের বরাত দেওয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়ে কর্মীদের বেতন সহ সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রম কমিশনারের দপ্তরে অভিযোগ জানাতে হয়। কলকাতা টেলিফোনসের চিফ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস সরকার বলেন, আমরা আদালতেই যা বলার, বলব।