সংবাদদাতা, বজবজ: বাটা ও হাওড়ার সারেঙ্গার মধ্যে লঞ্চ পরিষেবা চালুর জন্য কয়েক কোটি টাকায় তৈরি হয়েছিল জেটিঘাট। কিন্তু গত দু’বছর ধরে লঞ্চ আর আসেনি, তৈরি হওয়ার পরেও বন্ধ রাখা হয়েছিল জেটিঘাটের দরজা। শেষ পর্যন্ত জনমতের চাপে সম্প্রতি মহেশতলার বাটা জেটিঘাটের দরজার তালা খুলে দেওয়া হল। এখন থেকে এই জেটিঘাটের উপর দিয়েই ভুটভুটিতে উঠবেন যাত্রীরা। তবে এই নিয়ে বিভক্ত জনমত। কেউ কেউ বলেছেন, লঞ্চ না এলে আর কী করা যাবে! এভাবে দীর্ঘদিন ধরে জেটিঘাট তালা দিয়ে রেখে দিলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার চেয়ে যাত্রীদের প্রয়োজনে তৈরি করা জেটি যাত্রীরাই ব্যবহার করুন। আর একদল অবশ্য মোটেই এর সঙ্গে সহমত নন। তাঁদের কথায়, জল কাদা পেরিয়ে, ঝুঁকি নিয়ে ভুটভুটিতে পারাপার করতে হচ্ছিল বলে এই জেটিঘাট তৈরি করা হল। উদ্দেশ্য লঞ্চ চালু। এরপরেও সেই ভুটভুটিতেই যদি উঠতে হয়, তাহলে সেটি মোটেও কাম্য নয়। তাছাড়া জেটিঘাট তৈরি হয়েছে লঞ্চের উচ্চতা অনুসারে। ভুটভুটির সঙ্গে জেটিঘাটের উচ্চতার অনেকটা ফারাক রয়েছে। ফলে ভুটভুটি থেকে জেটিতে ওঠা-নামার সময় ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এভাবে জেটি চালু করাটা মোটেই ভালো হল না।
হুগলি নদীর এপারে মহেশতলার বাটা জেটিঘাট। অপরপারে হাওড়ার সারেঙ্গা জেটিঘাট। ভাটার সময় দুই পাড়েই অনেকটা কাদায় নেমে নৌকায় উঠতে-নামতে হয়। এই সমস্যা নিয়ে যাত্রীরা নানা জায়গায় দরবার করেছিলেন। পাশাপাশি ভুটভুটিতে বারবার দুর্ঘটনাও ঘটছিল। এর ফলে সরকারিভাবে এখানে লঞ্চ পরিষেবা চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সেই অনুসারে দু’বছর আগে বাটাতে সাত এবং সারেঙ্গাতে পাঁচ, মোট ১৩ কোটি টাকা খরচ করে এই জেটিঘাট দু’টি তৈরি করে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। তখন এমনও ঘোষণা করা হয়েছিল যে, এখান থেকে লঞ্চে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার সুযোগ থাকবে। মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাস বলেন, সেইভাবেই এখানে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিবহণ দপ্তর লঞ্চ দিতে পারেনি। যাত্রীরা অনেকদিন ধৈর্য ধরেছিলেন। কিন্তু শেষে তাঁরাও অধৈর্য হয়ে পড়েন। তাই এই পদক্ষেপ নিতে হল। লঞ্চ দেওয়া হলে তখন এই ব্যবস্থার বদল হবে।