বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ছ’মাসে বারাকপুর কমিশনারেট এলাকা থেকে ২০৩টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৯-এ সংখ্যাটা ছিল ১০৮। ২০২০ এবং ২০২১ সালে এই সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ৩৬ ও ১০১। এই পরিসংখ্যান তুলে পুলিস দাবি করছে, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে লাগাতার অভিযান চালানোর কারণেই এই সাফল্য এসেছে। কিন্তু তার সুফল কেন বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে না, তার জবাব নেই প্রশাসনের কাছে। এর মধ্যে আবার ভাটপাড়া এবং জগদ্দল থানা এলাকা থেকেই সর্বাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। এ বছর ভাটপাড়া থানা এলাকা থেকে প্রথম ছ’মাসে ২৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে জগদ্দল থানা এলাকা থেকে। এছাড়া সব ক্ষেত্রেই অনেক পরিমাণ গোলাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিসের পদস্থ কর্তারা মনে করছেন, যেভাবেই হোক, বেআইনি অস্ত্রের এই রমরমা ও সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। তাহলেই গোলাগুলির ঘটনা কমবে।
এ ব্যাপারে বারাকপুরের পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, মূলত ভিন রাজ্য থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকছে এই অঞ্চলে। এগুলি বাজেয়াপ্ত করতে আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছি। তার সুফলও পাওয়া গিয়েছে। এ বছর প্রথম ছ’মাসে যত সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা আগের বছরগুলিতে হয়নি। তারপরও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন এলাকায়। আমরা তাই বিশেষ তল্লাশি অভিযান আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খোদ পুলিস কমিশনার এই আশ্বাস দিলেও একের পর এক ঘটনায় বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে।