বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এনজিটি এদিন তার রায়ে বলেছে, ঝিলে যে পরিমাণ দূষিত জল এসে পড়ে, তার ৮২ শতাংশ পরিশোধন করার দায় পুরসভার। বাকি ১৮ শতাংশ রেলের। এসটিপি’র জন্য রেল জমি দেবে। কিন্তু, কোন শর্তে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। রাজ্য দখলদারদের পুনর্বাসনে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প নিয়ে এগতে চায়। যেহেতু রেলের জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে, তাই রেলকেই এই প্রকল্পের জন্য জমি দিতে হবে।
একথা উল্লেখ করে বেঞ্চ বলেছে, ঝিলে অপরিস্রুত জল ফেলা বন্ধ করার প্রাথমিক দায়িত্ব পুরসভার। অন্যদিকে, আইন অনুযায়ী দখলদারদের পুনর্বাসনের জন্য জমি দেওয়ার দায় রেলের নয়। পুরসভাকেই এসটিপি সহ ঝিল ঘিরে পাইপলাইন বসানোর দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ, তারাই ৮২ শতাংশ দূষিত জল ঝিলে ফেলে। এসটিপি মারফত পরিস্রুত জলের মান অন্তত ‘বি’ পর্যায়ের হতে হবে। উল্লেখ্য, ২২ জুন এই ঝিল পরিদর্শনের পর নতুন করে এনজিটিতে অভিযোগ পেশ করেন মামলাকারী সুভাষ দত্ত।
এনজিটি’র নির্দেশ, এসটিপি’র জন্য রেল জমি দিতে পারে। সেক্ষেত্রে তারা ‘ইউজার চার্জ’ নিতে পারে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ঝিল সংলগ্ন রেলের জমি থেকে দখলদারদের সরাতে হবে রেলকে। জেলা প্রশাসন তার জন্য আইনমাফিক সহযোগিতা দিতে পারে। যদি এ নিয়ে কোনও বিতর্ক দেখা দেয়, তার উপযুক্ত আইনি নিষ্পত্তি করা যাবে।