বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
শহরে এই মুহূর্তে ২৫টি ট্রাফিক গার্ড রয়েছে। সবচেয়ে বড় এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ ও পথনিরাপত্তার দায়িত্বে তিলজলা ট্রাফিক গার্ড। বাসন্তী হাইওয়ে এই অফিসের আওতায়। এই সড়ক দুই ২৪ পরগনা জেলাকে মহানগর কলকাতার সঙ্গে যুক্ত করেছে। শহরের যানজট এড়াতে বহু মানুষ এই রাস্তা দিয়ে দুই ২৪ পরগনার নানা স্থানে যাতায়াত করেন। পুলিসের দাবি, এই রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম। তাই এই সড়কে গাড়ির গতি তুলনামূলকভাবে বেশি। এই দীর্ঘ রাস্তায় ডিভাইডার নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে স্ট্রিট লাইট কম। একাধিক জায়গায় রাস্তা বেহালও। ট্রাফিক বিভাগ সূত্রের খবর, তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ইনসপেক্টর পদমর্যাদার একজন অফিসারকে সবসময়ের জন্য বাসন্তী হাইওয়ের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। এছাড়া রয়েছেন অন্যান্য পুলিসকর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা। তবে ১৭ কিমি রাস্তায় নজরদারির জন্য তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছে লালবাজার। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতেই লেদার কমপ্লেক্স ট্রাফিক গার্ড তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, গতমাসে এই প্রস্তাব গিয়েছে মুখ্যসচিবের কাছে। ট্রাফিক গার্ড তৈরির জন্য পুলিসকে জমি খুঁজতে বলা হয়েছে। সেই কাজ লালবাজার শুরুও করে দিয়েছে। পুলিসের আশা, বাসন্তী হাইওয়ে লাগোয়া ফাঁকা সরকারি জমি শীঘ্রই পাওয়া যাবে। এছাড়া নতুন ট্রাফিক গার্ডের জন্য দু’জন ইনসপেক্টর পদমর্যাদার অফিসারসহ মোট ৬০ জনের ফোর্স চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গতবছর এই রাস্তাতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয় তিলজলা ট্রাফিকগার্ডের এক সার্জেন্টের। এরপরই রাস্তায় দুর্ঘটনা কমাতে উদ্যোগী হয় লালবাজার। কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রের খবর, এই রাস্তায় তিনটি নতুন সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। উল্টোদিকের গাড়ি দেখতে শার্প টার্নিংগুলিতে কনভেক্স মিররও বসানো হয়েছে।