গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কলেজে ইতিমধ্যেই ৫০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর প্যানেল বসেছে। খুব দ্রুত বসতে চলেছে আরও ৫০ কিলোওয়াটের প্যানেল। রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান (রুসা)-এর ২০-২২ লক্ষ টাকা অনুদান মিললে বসে যাবে আরও ৫০ কিলোওয়াটের সৌর প্যানেল। সব মিলিয়ে, ১৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর প্যানেল বসতে চলেছে এই কলেজে। অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল করের দাবি, এর ফলে কলেজের বিদ্যুৎ বিল কার্যত শূন্যে নেমে আসবে। এখন কলেজের যা বিদ্যুতের চাহিদা, তা মিটিয়ে বাড়তিটুকু বিক্রি করে দেওয়া হবে সিইএসসির কাছে। সে ব্যাপারে প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছে। ইন্দ্রনীলবাবু বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সৌর প্যানেল থেকে পাওয়া পুরো বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায় না। তবে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত তা করা সম্ভব। এই বিদ্যুতে সুরেন্দ্রনাথ মেইন, ল এবং উইমেনস কলেজের চাহিদা মিটে যাবে। যেহেতু এটি মেইন কলেজের উদ্যোগ, তাই উইমেনস কলেজ মাসিক বিলে ওই ১০ শতাংশের টাকা মিটিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে। ফলে মেইন কলেজের বিদ্যুৎবাবদ খরচ কার্যত শূন্য হয়ে যাবে।
তবে শুধু বিদ্যুত খরচে সাশ্রয় নয়, গোটা প্রতিষ্ঠানকেই কার্যত গ্রিন কলেজে পরিণত করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। তার জন্য বৃষ্টির জল জমিয়ে তা ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্লাম্বিং সংক্রান্ত অধিকাংশ কাজ শেষ। বাকি রয়েছে রিজার্ভার তৈরি। তার জন্য জায়গা চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। এর ফলে কলেজের হাতে এককালীন প্রায় ৩৫-৪০ হাজার লিটার জল থাকবে। কলেজের বিশাল ক্যান্টিন এবং শৌচাগারের জলের চাহিদা এখান থেকে মিটে যাবে। এমনকী, আগুন নেভানোর ক্ষেত্রেও ওই জলাধারের জল ব্যবহার করা যাবে যে কোনও সময়। আরও জানা গিয়েছে, সুরেন্দ্রনাথ কলেজে নতুন কমন রিসার্চ ল্যাব এবং অত্যাধুনিক জিম খুব তাড়াতাড়ি উদ্বোধন হতে চলেছে। ল্যাবে যা যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে, তা কলেজ স্তরে বিরল। ফলে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ঘিরে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ আরও বেশি হবে, তা বলাই যায়।