পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ কমাতে ইতিমধ্যে ইলেকট্রিক বা সিএনজি চালিত বাস রাস্তায় নামিয়েছে রাজ্য সরকার। পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, রাজ্য প্রায় দু’হাজার ইলেকট্রিক বাস কিনেছে। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলির গঙ্গা তীরবর্তী শহরগুলির যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল জলপথ। কয়েকশো লঞ্চ সামান্য খরচের বিনিময়ে যাত্রী পরিবহণ করে আসছে বছরের পর বছর ধরে। এই লঞ্চগুলি ডিজেলে চলে। আগামীদিনে ডিজেলচালিত লঞ্চের বদলে গঙ্গা পারাপার করাবে আধুনিক প্রযুক্তির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ইলেকট্রিক লঞ্চ বা ই-ভেসেল।
এদিন চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন গার্ডেনরিচের সংশ্লিষ্ট সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি আর হরি, ডিরেক্টর (শিপ বিল্ডিং) শান্তনু বোস, পরিবহণ দপ্তরের বিশেষ সচিব অনিন্দ্য সেনগুপ্ত সহ অন্যান্যরা।
প্রস্তাবিত এই বৈদ্যুতিন জলযানের নকশাও এদিন প্রকাশ করা হয়। জানা গিয়েছে, নীল-সাদা ছাউনি দেওয়া লঞ্চগুলি ২৪ মিটার লম্বা হবে। থাকবে দু’টি প্রপেলার। এগুলিতে যাতায়াত করতে পারবেন কমবেশি ১৫০ যাত্রী। প্রয়োজনীয় বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য জলযানের মাথায় রাখা হবে সোলার প্যানেল। সেই বিদ্যুতেই চলবে এই যান। ৮ থেকে ১০ নটিক্যাল মাইল গতিতে এই জলযান চলতে পারবে। এই যানের পুরো নকশাটি বানিয়েছে গার্ডেনরিচের ওই সংস্থাই। সরকারের বক্তব্য, এটা একটি যুগান্তকারী প্রকল্প, যা আগামীদিনে রাজ্যের জলপথ পরিবহণের চেহারা বদলে দিতে চলেছে।
এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ জানিয়েছেন, যতটা সম্ভব কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে পরিবেশ দূষণ রোধ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যেই নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রাস্তায় ইলেকট্রিক বা সিএনজি বাস নামানো হচ্ছে। জলপথেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবিজ্ঞানী ডঃ স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এই ধরনের প্রচেষ্টা বা প্রকল্প আরও নিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ যেভাবেই হোক কমাতে হবে। ই-জলযান যেমন বায়ুদূষণ রোধ করবে, তেমনি জলদূষণও কমবে।