বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এর আগে বেশ কয়েকবার আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবি নিয়ে জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসকের দপ্তরে বৈঠক করেছেন। বুধবার পাওয়ার গ্রিড সাব কমিটির বৈঠক রয়েছে বারুইপুরে। তারপরেও বিক্ষোভ হওয়ায় হতবাক আধিকারিকরা। জমি কমিটির দাবি, অবিলম্বে বিদ্যাধরী নদী সংস্কার, এলাকায় হিমঘর নির্মাণ, টোনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নতিকরণ এবং বকেয়া মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে নতুন করে আন্দোলন শুরু করবে ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিটির দাবি মেনে ইতিমধ্যে ১২ কোটি টাকার মধ্যে সাড়ে ১১ কোটি টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। টোনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নতিকরণ করা হয়েছে। পাওয়ার গ্রিড এলাকায় হিমঘর তৈরির জন্য জমি চিহ্নিতকরণ ও অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। বিদ্যাধরী নদীর পাড় বরাবর রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের সময় ৭৭টি মামলা হয়েছিল। এরমধ্যে ৪৬টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন দশটি মামলার তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী বেশ কিছু কাজ হলেও অধিকাংশ কাজই বকেয়া রয়েছে। আমরা চাই, অবিলম্বে সেইসব কাজ শেষ করা হোক। যদিও এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, তাঁদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। সরকারি কাজ করতে গেলে একটু সময় দিতে হয়। তাঁরা একবার ছাড়া দু’বার আলোচনা করতে পারেন, কিন্তু যা করছেন, তা শোভনীয় নয়।