রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি নদীয়ার রানাঘাটের নাসরা এলাকায়। তারা বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাস দুয়েক আগে বাগদার দেড়বাড়ি গ্রামের এক তরুণী সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বিজ্ঞাপন দেখে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তিনি চাকরির ফর্মও পূরণ করেন। নির্দিষ্ট দিনে তাঁর ইন্টারভিউও হয়। চাকরির ফর্ম ফিলাপ করা থেকে পরবর্তী সময়ে পাঁচ থেকে ছয় ধাপে তরুণীর থেকে মোট ২২ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। মে মাসে ওই তরুণীকে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের বনগাঁ শাখায় চাকরির নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়। কিন্তু ২৬ মে নিয়োগপত্র নিয়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে তিনি ফাঁপরে পড়েন। কারণ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানায়, এইভাবে ব্যাঙ্কে নিয়োগ হয় না। এই নিয়োগপত্রটি ভুয়ো।
প্রতারিত হয়েছেন বুঝে তরুণী বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। তরুণী প্রতারকদের যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছিলেন, তদন্তকারীরা তার তথ্য বের করেন। পুলিস জানতে পারে, হাবড়ার এক বাসিন্দার নামে ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করা হয় কেরল থেকে। তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, এই প্রতারণা চক্রের জাল বিস্তৃত রয়েছে ভিন রাজ্যেও। ওই সূত্র ধরে তদন্ত করে এই চক্রের সদস্য রানাঘাটের নাসরার তিন যুবককে পুলিস গ্রেপ্তার করে। চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ করার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার কতজন প্রতারিত হয়েছেন, সেই তথ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।