পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনারপুরের বাসিন্দা ঊষারানিদেবীর তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে চাকরির প্লেসমেন্টের একটি সংস্থা রয়েছে। তাঁর ভাই পুক্কালি আমিন এই কাজে সাহায্য করেন। এই সংস্থার মাধ্যমে বেশ কয়েকজন চাকরি পেয়েছিলেন। তারই কমিশন বাবদ টাকা পাওয়ার কথা ছিল ওই মহিলার। চাকরি পাওয়া সেরকমই এক ক্লায়েন্টের তরফে তাঁকে বলা হয়, হাওড়াতে লোক পাঠালে বকেয়া ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতো গত ৯ জুন ঊষারানীদেবী তাঁর ভাইকে সেখানে পাঠান। নির্দিষ্ট একটি হোটেলে আসতে বলা হয় পুক্কালিকে। তিনি সেই হোটেলে গেলে, তাঁকে ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করে জোর করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপর একটি গাড়িতে চাপিয়ে তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, ভাইয়ের খোঁজ না পেয়ে আগামী ১২ই জুন সোনারপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন উষারানি। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুক্কালি আমিনকে।
এরই মধ্যে আবার উষারানিকে ফোন করে ৭০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। টাকা দ্রুত পাওয়ার জন্য পুক্কালিকে মারধর করার ভিডিও পাঠানো হয় তাঁর পরিবারের কাছে। সোনারপুর থানার এসআই সোমনাথ দাসের নেতৃত্বে একটি দল ভাইজাগে পৌঁছে গেলেও, অপহরণকারীদের নাগাল পাচ্ছিল না। এরপরই টোপ হিসেবে হাওলা পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা ভাবে পুলিস। তদন্তকারীদের পরামর্শে অপহৃতের পরিবার অপহরণকারীদের জানিয়ে দেয়, মুক্তিপণের টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে নয়, হাওলার মাধ্যমে দিতে রাজি তারা। এরপর ভাইজাগের এক অটোচালককে হাওলা অপারেটর হিসেবে সাজিয়ে অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলায় সোনারপুর থানার পুলিস। সাহায্য মেলে ভাইজাগ পুলিসের। এরপর গত ২৩ জুন ভাইজাগের একটি হোটেলে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার কথা ঠিক হয়। সেখানে অপহরণকারীরা পৌঁছতেই, সোনারপুর থানার পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতদের সোনারপুরে নিয়ে আসা হয়।