বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরসভার স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে উন্নত করতে একাধিক নতুন আর্বান হেলথ সেন্টার তৈরির কাজও হুগলিতে শুরু হয়েছে। আবার পলিক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার তৈরির প্রকল্পও রাজ্য প্রশাসন হাতে নিয়েছে। ফলে সার্বিকভাবে পুরসভার স্থানীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থা ২০২২ সালের শেষ নাগাদ যথেষ্ট উন্নত হয়ে যাবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। হুগলি জেলার পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা স্বাস্থ্য নজরদারি কমিটির সদস্য শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শহর ও গ্রাম উভয়ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হচ্ছে। আমাদের সরকার উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রামীণ এলাকায় চারশোর কাছাকাছি নতুন ধরনের স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে পুরসভাস্তরেও নতুন চিকিৎসা কেন্দ্র হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ৩৩টি কেন্দ্র তৈরির অনুমোদন পেয়েছি। আরও ২৮টির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার আসলে একটি বিশেষ ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রকল্প। এর মূল সুবিধাটি হচেছ টেলিমেডিসিন পরিষেবা। মূলত জটিল চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীকে পরিষেবা দেবে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, যেখানে একই ছাদের তলায় বসে গোটা রাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পাবেন রোগী। সেই সঙ্গে সেখানে থাকবে পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবস্থা। সুগার, প্রেসারের রোগীদের প্রাথমিক পর্বের পরীক্ষাটিও সেখানেই হয়ে যাবে। সম্প্রতি এই রকম দু’শোটিরও বেশি কেন্দ্র গ্রামীণ এলাকায় চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এবার শহরের অর্থাৎ পুরসভা এলাকার জন্যেও ওই প্রকল্প চালু করা হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন, ওই কেন্দ্রগুলি এমন জায়গায় করতে হবে যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ পরিষেবা নিতে পারে। পাশাপাশি, সেখানে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যাতে সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টি নজরে রেখে নতুন স্বাস্থ্য পরিষেবার জায়গা পছন্দ করতে হবে।