বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হাসপাতালে দেখা গেল, রয়েছেন মাত্র একজন ডাক্তার এবং একজন কম্পাউন্ডার। কোনও গ্রুপ ডি কর্মী নেই। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো এবং কর্মীর অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শল্য চিকিৎসা। বছর দশেক আগে এক্স-রে এবং আল্ট্রাসোনোগ্রাফি মেশিন বসেছিল। কিন্তু সেগুলি কখনও চালুই হয়নি। টেকনিশিয়ানের অভাবে শুরু থেকেই পড়ে রয়েছে সেসব।
পার্শ্ববর্তী ল্যাবের অবস্থাও তথৈবচ। সেখানেও একজন ডাক্তার রয়েছেন, কিন্তু টেকনিশিয়ান নেই। ফলে হাতেগোনা কয়েকটি কাজ ছাড়া পুরোটাই থমকে গিয়েছে। গজিয়ে উঠেছে ঝোপজঙ্গল। চিকিৎসার জন্য এখনও দৈনিক ১০-১৫টি পশু নিয়ে আসে লোকজন। পশুপ্রেমীদের অভিযোগ, প্রাথমিক চিকিৎসা ভিন্ন কোনও পরিষেবাই মেলে না। বড় সমস্যায় ছুটতে হয় বেলগাছিয়া কিংবা সল্টলেক।
হাসপাতালের ভেটেরিনারি অফিসার নীতীশ কুমার মোদক বলেন, পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য আমরা বহুবার আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। যে ক’টি পোষ্য আসে, এই পরিকাঠামোর মধ্যে যতটা সম্ভব চিকিৎসা তাদের আমরা করি। বাড়ির পোষ্যদের জন্য সরকার ওষুধ পাঠায় না। তাই মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সাহায্য নিতে হয়। এক্স-রে বা ইউএসজি করার জন্য অন্তত চারজন কর্মী দরকার।
প্রসঙ্গত, হাসপাতালের হাল ফেরানোর দাবিতে পওসম হাওড়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নামে একটি সংস্থা সম্প্রতি কদমতলা থেকে হাওড়া পর্যন্ত মিছিল করে। তাদের প্রতিনিধি সতীশ উপাধ্যায় বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বললে তারা জেলার ডেপুটি ডিরেক্টরের কাছে অভিযোগ জানাতে বলে। সেখানে গেলে পাঠানো হয় সল্টলেক। আস্ত একটা হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও আমরা যদি পরিষেবা না পাই, তাহলে পশু চিকিৎসার জন্য সরকারের অর্থ বরাদ্দ করে লাভ কী?