পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সজনেখালি রেঞ্জের পাখিরালয় হেড কোয়ার্টারে বছরচারেক ধরে রয়েছে প্রশিক্ষণের পর নিজের কাজে তুখোড় হয়ে ওঠা এই ফিমেল জার্মান শেপার্ড ইকনা। এখন অতিরিক্ত গরমের দাপটে প্রবল অস্বস্তি শুরু হয়েছে তার। সে যে ঘরটিতে তাকে সেটি শীতল রাখতে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন প্রশিক্ষকরা। এই প্রস্তাব ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের অধিকর্তা তাপস দাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে নামখানা রেঞ্জের দেবীপুরে ও ২০২০-২১ সালে গোসাবার সাতজেলিয়াতে গভীর রাতে লোকালয়ে ঢুকেছিল বাঘ। তখন ইকনা গন্ধ খুঁজে খুঁজে বাঘটির পায়ের ছাপ খুঁজে বের করে। তার অনুধাবন শক্তি বনদপ্তরের কর্মীদের নজরদারির কাজে সুবিধা করে দেয়। এছাড়া আর একটি কাজও করে এই চালাকচতুর কুকুরটি। দোল বা দীপাবলিতে ওইসব অঞ্চলে হরিণ মারার প্রবণতা থাকে মানুষের মধ্যে। তাই এই সমস্ত এলাকায় ইকনাকে দিয়ে নিয়মিত পেট্রলিং করানো হয়ে থাকে।
ইকনার দেখাশোনা করেন প্রশিক্ষক সুনীল নাথ ও তাঁর সহকারী মনোরঞ্জন মণ্ডল। সুনীলবাবু বলেন, ইকনা আসার পর থেকে সুন্দরবনের জঙ্গলে কোনও প্রাণী হত্যা হয়নি। কুকুরটি সবার প্রিয়। তার যত্নে কোনও ত্রুটি করা হয় না। ব্যাঘ্র প্রকল্পের বড়কর্তা নিজেও নজর রাখেন। এখন গরমে অস্বস্তি বাড়ছে ওর। ১০ দিন অন্তর ইকনাকে স্নান করানো হয় বা দিনে চার লিটার করে জল খাওয়ানো হয়। শরীর ঠান্ডা রাখতে সকালে দুধ ভাত, লাউ, কুমড়ো, ডাল, দই, ডিমসেদ্ধ দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় মাংস, ডালিয়া, বিট, গাজর দেওয়া হয়। এর মাঝে ডগবিস্কুটও দেওয়া হয়। সকাল-বিকাল দৌড় থেকে শুরু অন্যান্য ট্রেনিংও করানো হয়। এর পাশাপাশি ওর স্বাস্থ্যরক্ষায় এসি বা এয়ার কুলার বসানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।