রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
চাল-ডাল, ডিম, মায় তেল-নুন পর্যন্ত হাপিস করে দিচ্ছে। বাদ দিচ্ছে না পড়ুয়াদের বই-খাতা। স্কুলের ঘরগুলিতে একটাও আলো-পাখা নেই। এমনকী বিদ্যুৎ সংযোগকারী তারও খুলে নিয়ে ধাঁ। কষ্টেসৃষ্টে একটি অ্যাকোয়াগার্ড বসিয়েছিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেটিও উপড়ে দিয়েছে চোরেরা। জলের কলগুলো পর্যন্ত তাদের হাত থেকে বাঁচেনি। সেগুলির দশাও তথৈবচ। তাও কি একবার? বারবার স্কুলে হামলা চালিয়েছে চোর। যেন তাদের সফট টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে হাওড়ার আন্দুলের উত্তর মৌড়ি কেশবচন্দ্র নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মালতী রায় বলেন, ‘দরজায় বড় বড় তালা লাগিয়েও লাভ হয়না। চোরেরা দরজা ভেঙে সব নিয়ে পালায়। সমস্যা আজকের নয়।’ তবে এবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সোমবার পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে স্কুলের অভিভাবকরা মহিয়াড়ি রোড অবরোধ করেন। পুলিস গিয়ে অবশ্য অবরোধ তুলে দেয়।
কেশবচন্দ্র স্কুল প্রায় আশি বছরের পুরনো। চোরের উপদ্রবে নাভিশ্বাস ওঠা স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অন্ধকার নামার পর দাপট শুরু হয় চোরেদের। কখনও জানলা ভেঙে তো কখনও দরজা ভেঙে তারা চুরি করে নিয়ে যায় মিড ডে মিলের সরঞ্জাম। বিদ্যালয়ে থাকা বইপত্র, আলো, পাখাও বাদ দেয় না। চুরি করার পরও দুষ্কৃতীদের উপদ্রব থামে না। ভেঙে ফেলে খাবার জলের কল, অ্যাকোয়াগার্ড। ছিঁড়ে দেয় বৈদ্যুতিক তার। বারবার চুরি করতে ঢোকে তারা। শেষবার এসেছিল গত শুক্রবার। সেদিন দরজা ভেঙে ঢুকে চুরি করে পালিয়েছে। স্কুলের এক রাঁধুনি বলেন, চোরের উপদ্রবে আমাদের গ্যাস সিলিন্ডার ও ওভেন পর্যন্ত নিয়ে বাড়ি যেতে হয়। স্কুল খুললে ২১০ জন পড়ুয়ার মিড ডে মিলের মালপত্র রোজ নিয়ে যাওয়া-আসা সম্ভব নয়। পুলিসকে বলেও ফল হয়না কিছু।
প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘বহুবার পুলিসকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। কোনও লাভ হয়নি। কাউকে ধরা হয়নি।’ ডোমজুড় ব্লকের বিডিও দীপঙ্কর দাস বলেছেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষকে পুলিস ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।’